প্রতীকী ছবি।
আমপানের প্রভাব রাজ্যের রেশন ব্যবস্থার উপর কতটা পড়বে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাজ্য সরকার। এত দিন শুধু রেশনকার্ডধারীদের জন্য রেশন বিলি চলছিল। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন রাজ্যে ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকেরা। এই বাড়তি চাপ সামলাতে এখন খাদ্য দফতরের প্রাথমিক চিন্তা, আমপানের প্রভাব থেকে মজুত খাদ্যশস্য সুরক্ষিত রাখা।
চলতি মাসে রেশনের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিলিবণ্টন মোটামুটি শেষ। জুন মাসের প্রথম দিন থেকে রেশন চালু করার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত। রাজ্যের গুদাম ঘরগুলি থেকে ডিলার ডিস্ট্রিবিউটারেরা ইতিমধ্যেই চাল সংগ্রহ করেছেন রেশন দোকানে পাঠানোর জন্য। চলতি দুর্যোগে সেগুলি সুরক্ষিত রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে। এক খাদ্য কর্তার কথায়, “মনে হচ্ছে, রেশনের উপভোক্তার সংখ্যা শীঘ্র বাড়বে। রাজ্যে খাদ্যশস্যের মজুত নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু সেই খাদ্যশস্য আমপানের প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত কতটা রাখা যাবে, সেটাই এখন দেখার। কারণ, চালে জল লাগলে তা নষ্ট হয় দ্রুত। ফলে জল থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা চলছে সব রকম ভাবে।”
চলতি করোনা-পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিখরচায় খাদ্যশস্য রেশনের মাধ্যমে দিচ্ছে সরকার। খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে রেশন কার্ড রয়েছে ৯ কোটি ৯৬ লক্ষ মানুষের। তার মধ্যে ৯ কোটি ২ লক্ষ মানুষ রেশনের সুবিধা নিচ্ছেন। সম্প্রতি কমবেশি তিন লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছেন। সরকারের পরিকল্পনা আরও লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিককে অন্য রাজ্যগুলি থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফেরানো।
এখন সাধারণ রেশন গ্রাহকদের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৫ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল দরকার হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ শুরু হলে প্রতি মাসে অতিরিক্ত আরও প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন হবে। এক খাদ্য-কর্তার কথায়, “পরিকল্পনা চূড়ান্ত রূপ নিলে পরিযায়ী শ্রমিকদেরও পাঁচ কেজি করে চাল দিতে হবে। বিডিও-রা
ফুড কুপন বিলি করার পরে খাদ্য দফতরের কাছে চূড়ান্ত তালিকা এলে রেশন দোকানগুলিতে অতিরিক্ত বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।”