Cyclone Amphan

যেনতেন প্রকারে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, কাকদ্বীপে মমতা

এর আগে ২০০৯-এ ঘূর্ণিঝড় আয়লার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। কিন্তু এমন বিপর্যয় তিনি আগে কখনও দেখেননি বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২০ ১৯:৫৭
Share:

কাকদ্বীপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

ঘূর্ণিঝড় আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন) বাংলায় যে বিপর্যয় ডেকে এনেছে, তা জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও অনেক বড়। ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করতে গিয়ে শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চেপে গতকালই বাংলার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুর্গত এলাকায় যান তিনি। তার পর কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলায় ১০ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে ৪১ হাজারের বেশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নদীর বাঁধ ভেঙেছে ৫৬ কিলোমিটার। সবমিলিয়ে রাজ্যে ৬ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।’’

Advertisement

এর আগে ২০০৯-এ ঘূর্ণিঝড় আয়লার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। কিন্তু এমন বিপর্যয় তিনি আগে কখনও দেখেননি বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামত করে দিতে হবে। জোন ধরে ধরে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে বর্ষাজনিত রোগ নিয়েও। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে অ্যান্টিভেনম, ওআরএস মজুত রাখতে হবে যথেষ্ট পরিমাণে।’’রাস্তা মেরামতের আগে ভেঙে পড়া বাড়িগুলির পুনর্নির্মাণে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বলেও এ দিন জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আরও বেশি লোক নামিয়ে কাজ সারতে হবে। ১০০ দিনের কাজে স্থানীয়দের নিয়োগ করতে হবে। যেনতেন প্রকারে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’

এই ধরনের বিপর্যয় সামাল দিতে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে বাঁচাতে হবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন দফতরকে বৃক্ষরোপণের দায়িত্ব নিতে বলেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে কেউ যেন রেশন থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্য খাদ্য দফতরকে সঠিক ভাবে রেশন বণ্টণ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন: দু’দিনে কি সব কিছু স্বাভাবিক করা সম্ভব? আমপান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য মমতার​

আরও পড়ুন: আমপানের ধাক্কা সামলাতে এ বার সেনার সাহায্য চাইল রাজ্য​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement