আমফানের তুফানি বাতাসে ফুলেফেঁপে ওঠা ইছামতী বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়েছে রশিদ গাজির গাঁয়ের অন্দরে। —নিজস্ব চিত্র।
সব হারানোই এখন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে রশিদ গাজির। সুন্দরবনের লাখো মানুষের মতো আয়লা, ফণী, বুলবুল হোক বা আমপান, বাহারি নামের ঘুর্ণিঝড়গুলো বছর ৫৫-র এই প্রৌঢ়ের জীবনেরই অংশ হয়ে গিয়েছে। সেই ছোট থেকে বিড়ি বাঁধা নয়তো পরের জমিতে মজুরি খেটে বড় হওয়া রশিদ গাজির কাছে রাস্তা বড় চেনা আশ্রয়। তিনি বলেন, ‘‘আয়লাতেও ঘরটা উড়ে গিয়েছিল। তার পর সরকার কিছু টাকা দেওয়ায় ফের ঘরটা দাঁড় করাই। এ বার ফের খেয়ে নিল আমফান।”
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকরা গ্রাম। জনপদের প্রায় আর্ধেক বেড় দিয়ে রয়েছে মাইল খানেক চওড়া ইছামতী। আমফানের তুফানি বাতাসে ফুলেফেঁপে ওঠা ইছামতী বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়েছে গাঁয়ের অন্দরে। জোয়ার ভাটা খেলছে গোটা গাঁয়ে। ভাটার সময় জল কিছু নামতে হাঁটু জল ভেঙে আমফানে ধসে যাওয়া বাড়ির কাঠামোর ভিতরে ঢুকেছিলেন রশিদ। সবই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে নোনা জল। আশ্রয়হীন রশিদ গাজি ফের এগোন রাস্তার দিকে। এখন শুধু অপেক্ষা, কখন রিলিফ আসবে...
আরও পড়ুন: ধৈর্য ধরুন, এখন ক্ষুদ্র রাজনীতির সময় নয়: মমতা
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় বিপর্যয়’ তকমার চেয়ে অর্থই জরুরি, মত তৃণমূলের