কলকাতা জুড়ে ধ্বংসলীলার এমন ছবি সাম্প্রতিক অতীতে মনে পড়ছে না কারও। আমপান যেন (প্রকৃত নাম উম পুন) দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে শহরকে। গাছ উপড়ে পড়েনি, এমন রাজপথ শহরে বিরল। জলমগ্ন কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দাঁড়িয়ে থাকা বিমানগুলি ভাসছে খেলনা নৌকার মতো।
গলফগ্রিনে ভেঙে পড়া গাছের চাপে খেলনা গাড়ির মতো তুবড়ে গিয়েছে মিনিবাস।
আলিপুরে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে স্তব্ধ শহরে প্রাণ ফেরানোর কাজে তৎপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা।
বিদ্যুতের তার, লাইটপোস্টের সঙ্গে শেক্সপিয়র সরণিতে ভেঙে পড়েছ এই বিশাল গাছটি।
কাশীপুরে গাছের সঙ্গে তুবড়ে গিয়েছে বাতিস্তম্ভ।
কলকাতার চাঁদনি চকে বৈদ্যুতিন যন্ত্র দিয়ে কাটা হচ্ছে ভেঙে পড়া গাছ।
চাঁদনি চকেই শিকড় থেকে উপড়ে পড়েছে এই গাছটি। তখনও শুরু হয়নি সরানোর কাজ।
তছনছ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা।
ধর্মতলাতে তৎপর পুলিশকর্মীরা। চেষ্টা চলছে যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।
প্রকৃতি নিজেই অবরুদ্ধ করেছে পার্ক স্ট্রিট।
আমপানের প্রকোপে দিঘায় রাতারাতি আশ্রয়হীন মানুষ।
সল্টলেক ও নিউটাউনেও নির্বিচারে ভেঙে পড়েছে গাছ। কোথাও গাছের কাণ্ডের মাঝখান থেকে, কোথাও বা শিকড় থেকে উপড়ে গিয়েছে বিশাল গাছ। বুধবার সন্ধ্যায় তীব্র ঝড়ের মধ্যেই গাছ ভেঙে বিপর্যস্ত নিউটাউনের বিসি ব্লক।
ল্যান্সডাউনের পদ্মপুকুরে ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ি ও গাড়ির উপরে ভেঙে পড়েছে একশো বছরেরও প্রাচীন আমগাছ।
হাওড়ার ডোমজুড়ে একটুর জন্য রক্ষা পেয়েছে বিডিও অফিস।
কলকাতার রাস্তায় আমপানের তাণ্ডবে তুবড়ে যাওয়া গাড়ি।
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙাও লন্ডভন্ড আমপানের বিধ্বংসী লীলায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় উদ্ধারকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক করতে।
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে রাতের অন্ধকারেই শুরু হয়েছে ভেঙে পড়া গাছ তোলার কাজ।
শ্রীরামপুরে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন সাধারণ মানুষও। চেষ্টা চলছে ভেঙে পড়া গাছ সরানোর।
গাছ পড়ে বন্ধ বৈদ্যবাটী-জিটি রোড। এই একই অবস্থা বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গিয়েছে কলকাতা, শহরতলি এবং অন্যান্য জেলার প্রায় সব রাজপথেই।
ঝড়ের তাণ্ডবে একের পর এক গাছ ভেঙে পড়েছে কাঁথি শহরে।
কাঁথি শহরের এখানেই বসত অস্থায়ী সুপারমার্কেট। সেই খাসমল ময়দান জুড়ে তাণ্ডবের খণ্ডচিত্র।
কাঁথিতে মাঠের ধান বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা কৃষকের। (ছবি: নিজস্ব চিত্র)