আমপানের তাণ্ডব। ছবি: পিটিআই।
লকডাউন শেষ হওয়ার অন্তত এক মাস পরে কলেজ-বিশ্বদ্যালয়ে ফাইনাল সিমেস্টার হওয়ার কথা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আমপানে রাজ্যের বহু কলেজ বাড়ির ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা মহলের একাংশ মনে করছেন, কলেজবাড়ি সারিয়ে তার পরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
ঝড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা কলেজবাড়ির অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষা রুম্পা দাস শনিবার বলেন, ‘‘কলেজের বাড়ি যে ভেঙে যায়নি এই রক্ষে।’’ নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানান, তাঁদেরও কলেজ ক্যাম্পাস বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ওয়েব কুটা) সহ-সভাপতি প্রবোধ মিশ্র বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কলেজগুলির কথা সরকারকে বিবেচনা করতেই হবে। কলেজে এসে যাতে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে পারে, তা-ও ভাবতে হবে।’’ এ বিষয়ে রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলে ভাল হয় বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে তিনি জানান, অনলাইনে পরীক্ষা তাঁরা চাইছেন না।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রদের একাংশের মধ্যে পরীক্ষা ছাড়াই পাস করিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। এ বার সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে পড়ুয়ারা একজোট হচ্ছেন। তাঁদের দাবি, ফাইনাল সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষ-সহ অন্যান্য সিমেস্টারের পরীক্ষা নয়, আগের ফলাফলের ভিত্তিতে সকলকে পাশ করিয়ে দেওয়া হোক। ‘#এগেনস্টএগজাম’ নামের ওই ফেসবুকে এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং ঘূর্ণিঝড়ের জন্য যে পরিস্থিতি, তাতে পরীক্ষা না-দেওয়ার দাবিতে অনলাইন সই সংগ্রহ শুরু করেছেন ওই গ্রুপের সদস্যরা। সই সম্বলিত আবেদন তাঁরা পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি -সহ সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।