প্রতীকী ছবি।
আমপান ক্ষতিপূরণে শাসক দলের দুর্নীতির অভিযোগে হুগলি জেলা সরগরম। অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে প্রশাসনের কাছে। তালিকায় নতুন সংযোজন জাঙ্গিপাড়া ব্লকের কোতলপুর পঞ্চায়েত।
অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতে ক্ষতিপূরণের টাকা শাসক দলের নেতাদের একাংশের বদান্যতায় ধনীদের ঘরে পৌঁছেছে। অনেক ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতা সরাসরি সেই টাকা ‘হজম’ করেছেন বলেও অভিযোগ। আত্মীয়, ঘনিষ্ঠ বা প্রভাবশালীদের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন। তৃণমূলেরই একাংশ এই অভিযোগ তুলছে।
দিন কয়েক আগে প্রায় দু’শো গ্রামবাসীর সই করা অভিযোগপত্র চুঁচুড়ায় জেলাশাসকের দফতরে জমা পড়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সামসের মল্লিকের এক আত্মীয়, অঞ্চলের যুব সংগঠনের এক পদাধিকারী নেতার স্ত্রী-সহ পরিবারের আরও কয়েক জন টাকা পেয়েছেন। এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘টাকা যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের কারও দোতলা, কারও তিনতলা বাড়ি এবং সেগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি।’’
ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন স্বীকার করে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা অভিজিৎ কুণ্ডু বলেন, ‘‘ইটের দেওয়াল, অ্যাসবেস্টসের ছাউনির বাড়িতে থাকি। আর একটা মাটির বাড়ি আছে। সেখানে কেউ থাকে না। ওটা দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছিলাম।’’ অনেকেই যে ‘ঘুরপথে’ টাকা পেয়েছেন সে কথাও মেনে নিয়েছেন তিনি। জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘‘নিচুতলার কিছু নেতা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বঞ্চিত করছেন।’’