ভবানীভবনের সিআইডিতেই সাইবার থানার প্রস্তাব পাশ করেছিল মন্ত্রিসভা।
প্রত্যন্ত এলাকায় সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছিলেন এক তরুণী। স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে বুঝলেন, ওই পুলিশকর্মীদের বিষয় সম্পর্কে ধারণাই নেই। থানা, মহকুমা, জেলা ঘুরে ঘুরে হন্যে হতে হয়েছিল তাঁকে। রাজ্যের পুলিশকর্তারাও মেনে নিচ্ছেন, এমন নানা ঘটনার কথা। তাই খোদ ভবানীভবনের সিআইডিতেই সাইবার থানার প্রস্তাব পাশ করেছিল মন্ত্রিসভা। শুক্রবার থেকে সেই থানা আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ করা শুরু করেছে। এর পরে প্রতিটি জেলাতেই একটি করে সাইবার থানা হবে।
পুলিশকর্তারা বলছেন, নাগরিকেরা সরাসরি সিআইডির সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। জেলা পুলিশ থেকেও অভিযোগ এখানে পাঠানো যাবে। সিআইডিতে দীর্ঘদিন ধরেই সাইবার শাখা ছিল। সেটিকেই থানায় উন্নীত করা হয়েছে। অতিরিক্ত কর্মীও নিয়োগ করা হবে সেখানে। ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রাজ্য পুলিশের পেশাদার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির। প্রায় ১১৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম তার কোনও শাখাকে থানার মর্যাদা দেওয়া হল। প্রথম আইসি হয়েছেন পল্লব গঙ্গোপাধ্যায়।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র তথ্য বলছে, গত কয়েক বছর ধরেই এ রাজ্য-সহ গোটা দেশে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। গুজব ছড়িয়ে অশান্তি ছড়াতেও এই মাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে বিভাজনের বিষ নেট দুনিয়ায় ছড়ানো হয়েছিল।
সিআইডির এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘আগে সিআই়ডির সাইবার শাখাকে জেলা পুলিশের কোনও না-কোনও থানায় মামলা রুজু করতে হত। তাতেও নানা আইনি প্যাঁচ কষতে হত। এ বার কোনও কিছু নজরে এলে সিআইডির থানাতেই সরাসরি মামলা রুজু করে তদন্ত করবে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাইবার মামলার জন্য বিশেষ আদালতও চিহ্নিত করা হয়েছে। সিআইডির থানার মামলাগুলি সব আলিপুর আদালতে হবে। গোয়েন্দাদের একটি অংশ বলছেন, সাইবার মামলার তদন্তকারী অফিসারকে ন্যূনতম ইন্সপেক্টর হতে হয়। বর্তমানে ২ জন ইন্সপেক্টর রয়েছেন এই থানায়। তবে সিআইডি কর্তাদের আশ্বাস, শীঘ্রই আরও ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হবে।