এই মূর্তিগুলিই উদ্ধার করা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশে পাচারের আগে কেন্দ্রীয় শুল্ককর্তাদের অভিযানে উদ্ধার হল প্রায় ৩৫ কোটি টাকার প্রত্নসামগ্রী। উদ্ধার হওয়া প্রত্নসামগ্রীর মধ্যে অধিকাংশই বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। শুল্ককর্তাদের দাবি, তাঁরা প্রত্নতত্ববিদদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, উদ্ধার হওয়া মূর্তিগুলি নবম থেকে ষোড়শ শতকের।
কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর, কাস্টমসের প্রিভেনটিভ শাখার কমিশনার রাজেশ জিন্দাল বুধবার জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক দফতরের একটি দল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থানা এলাকায় একটি মিনি ট্রাক আটকায়। শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল, ওই মিনিট্রাকে ধানের আড়ালে পাচার হচ্ছে ওই মূর্তিগুলি। শুল্ককর্তাদের দাবি, কালিয়াগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের।
এক শুল্ককর্তা দাবি করেন, গাড়ি আটকানোর পর এক ব্যাক্তি নিজেকে পুলিশকর্মী পরিচয় দিয়ে শুল্ককর্তাদের কাজে বাধা দেন। সেই সময়ে এলাকার কিছু বাসিন্দা এসে শুল্ককর্তাদের ঘিরে ফেলে। তার মধ্যে পালিয়ে যায় মিনি ট্রাকের চালক এবং খালাসি। অভিযোগ, পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি শুল্ক দফতরের কর্মীদের জোর করে কুশমন্ডি থানায় নিয়ে যান। পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও ছাড়তে চায়নি পুলিশ। এর পরে আটক শুল্ক দফতরের কর্মীরা তাঁদের ঊর্ধ্বতনদের জানালে তাঁদের হস্তক্ষেপে ছাড়া পান শুল্ক দফতরের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিধি মেনে মেট্রো-লোকাল ট্রেন চালু হলে আপত্তি নেই, ঘোষণা মমতার
শুল্ক দফতরের কর্মীরা এর পর ওই আটক মিনি ট্রাক থেকে ২৫টি মূর্তি উদ্ধার করেন। তার মধ্যে রয়েছে পাথরের পার্বতী থেকে সূর্য, মনসা মূর্তি। রয়েছে ব্রোঞ্জ এবং অষ্টধাতুর তৈরি মূর্তি। শুল্ক দফতরের দাবি, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিশেষজ্ঞরা ওই মূর্তিগুলো নবম শতক থেকে ষোড়শ শতকের বলে জানিয়েছেন।
তবে পুলিশের হাতে আটক থাকার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কাস্টমস কমিশনার। সূত্রের খবর, তাঁরা গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘আমাদের কাছে শুল্ক দফতর এমন কোনও অভিযোগ জানায়নি। তাঁরা অভিযানের বিষয়েও আমাদের জানাননি।”