শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র।
উপাচার্য স্তরে কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আগেই। জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী ‘কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’ (চার বছরের অনার্স ও অক বছরের স্নাতকোত্তর) কর্মসূচি রূপায়ণে এ বার কলেজ অধ্যক্ষদের নিয়েও একটি কমিটি গড়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বুধবার বাঁকুড়ায় জানান। তিনি জানান, ছয় সদস্যের উপাচার্য কমিটি যে-সুপারিশ করবে, অধ্যক্ষদের কমিটি তা খতিয়ে দেখবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা কার্যকর করতে কেন্দ্র এবং ইউজিসি-র থেকে প্রচুর টাকার দরকার। ইউজিসি টাকার ব্যাপারে এখনও কিছু উচ্চবাচ্য করছে না। শুধু নানা নিয়মকানুন চাপাচ্ছে। টাকার ব্যাপারে তারা খোলসা করে কথা বললে আমাদের এবং অন্য অনেক রাজ্যের পক্ষেই সুবিধা হয়।’’
ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। শিক্ষা সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞান শাখায় মঙ্গল ও বুধবারের বৈঠকে নীতিগত ভাবে মত প্রকাশ করা হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই ফ্রেমওয়ার্ক অনুসারে স্নাতকে চার এবং স্নাতকোত্তরে এক বছরের পাঠ্যক্রম চালু করে দেওয়া হোক। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অধিকাংশই আসন্ন শিক্ষাবর্ষে চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম চালু করার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। তবে যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি— দুই বিশ্ববিদ্যালয়েই আপাতত মাল্টিপল এগ্জ়িট এবং এন্ট্রির বিপক্ষে মত উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১০ এপ্রিল তাঁদের সব কলেজের অধ্যক্ষদের বৈঠকে ডেকেছেন।