—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে গিয়েও সমাবর্তন-মঞ্চে ওঠা হয়নি তাঁর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনও আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ছাড়াই করা হবে বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষা সূত্রের খবর, ওই সমাবর্তন নিয়ে রাজ্যপাল আগেই বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন।
২৪ ডিসেম্বর কর্মী-বিক্ষোভের জেরে যাদবপুরের সমাবর্তনে ঢুকতেই পারেননি ধনখড়। সে-দিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের অনুপস্থিতিতে সেনেট-বৈঠক করে ২৮ জানুয়ারি সমাবর্তনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কী হবে? শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে ছাড়াই সমাবর্তন হবে। এমন কোনও বাধ্যবাধকতা বা আইন নেই যে, ওঁকে ডাকতেই হবে। ওঁকে যত সম্মান করা হচ্ছে, উনি ততই বাংলাকে অসম্মান করছেন।’’
বিতর্ক চলছে রাজ্যপাল-উপাচার্য বৈঠক নিয়েও। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যপাল এ দিন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের রাজভবনে ডেকেছিলেন। শিক্ষা সূত্রের খবর, উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশে কোনও উপাচার্যই ওই বৈঠকে যাননি।
আরও পড়ুন: শ্যামাপ্রসাদ-নামে ক্ষোভ বাড়ছে, নিস্পৃহ তৃণমূল
রাজ্যপাল এ দিন এক অনুষ্ঠানে গিয়ে জানান, শুক্রবার তিনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছেন। খতিয়ে দেখে আজ, মঙ্গলবার তার উত্তর দেবেন। উচ্চশিক্ষা দফতরের খবর, ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যে উচ্চশিক্ষা সংসদ আছে। সেখানে উপাচার্যদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক হয়। আলোচনা হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সমস্যা নিয়ে। সমাধানেরও চেষ্টা করা হয়। তাই উপাচার্যদের নিয়ে রাজ্যপালের পৃথক বৈঠক করার প্রয়োজন নেই। নতুন উচ্চশিক্ষা বিধি অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা দফতরই রাজ্যপাল ও উপাচার্যের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম।
রাজ্যের উপাচার্যেরা মিলে একটি সমিতি তৈরি করেছেন। ওই সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য এ দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উৎকর্ষ বাড়ানোই সমিতির মূল লক্ষ্য। এক প্রাক্তন উপাচার্য জানান, ২০১১ সালের আগেও এই ধরনের সমিতি ছিল।