সবুজ: বিধান শিশু উদ্যানের কৃষি মেলায় সিঙ্গুর প্রকল্পের ফসল। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
সিঙ্গুর নিয়ে অনেক সভা-মিছিল দেখেছে কলকাতা। এ বার দেখল ন্যানো কারখানার ফিরিয়ে দেওয়া জমিতে চাষ হওয়া ফসলকে।
সিঙ্গুরের জমি টাটাদের হাত থেকে চলে যাওয়ার পরেও এই জমিতে চাষের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, গাড়ি কারখানার বিরাট কর্মকান্ডের পরে আদৌ কি ফিরতে পারবে চাষবাসের সেই দিনগুলি? এর জবাব মিলছে বিধান শিশু উদ্যানের কৃষিমেলায়। জৈব চাষের বিভিন্ন ফসলের পাশে জায়গা পেয়েছে সিঙ্গুরের ন্যানো প্রকল্পের জমিতে হওয়া ধান, আলু, সর্ষে। রাজ্য সরকারের কৃষি দফতরের স্টলে টবে লাগিয়ে রাখা হয়েছে সিঙ্গুরের প্রকল্পের ধান গাছ। রাখা হয়েছে সিঙ্গুরের ক্ষেতের আলু।
রাজ্য সরকারের কৃষি মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানার প্রকল্পের ৯৯৭ একর জমির মধ্যে কৃষিযোগ্য জমি প্রায় ৮৪৩ একর। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ একর জমিতে এখন চাষ হচ্ছে। ২৩০ একরে ধান চাষ হয়েছে। ৫ একরে হয়েছে আলু। এ ছাড়া ৭০ একরে তিল, ২৫ একরে কলাই, ২৫ একরে মুগ চাষ হয়েছে। সিঙ্গুর এলাকার কৃষি বিভাগের আধিকারিক জয়ন্ত কুমার পাড়ুইয়ের দাবি, অন্য জমির তুলনায় প্রকল্পের জমিতে আলুর ফলনও বেশি হয়েছে। তাঁর মতে, জমি তৈরির ক্ষেত্রে যে উন্নত মানের প্রযুক্তি ও অন্যান্য কৃষি সামগ্রীর ব্যবহার হয়েছে, তারই প্রভাব পড়েছে উৎপাদনে।
তবে অনেকেই বলছেন, সিঙ্গুর প্রকল্পের ফসলের মানের থেকেও বড় বিষয় রাজনীতি। সে জন্যই জৈব ফসল না হয়েও তার জায়গা হয়েছে রাজ্য সরকারের কৃষি মেলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দেখাতে চাইছে রাজনৈতিক আন্দোলনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কৃষকদের হাতে জমি ফিরিয়ে দিয়েই শেষ হয়নি। বরং প্রকল্পের মাঠে হওয়া ফসল মনে করাচ্ছে সেই পুরনো দিনগুলিকেই।