প্রতীকী ছবি।
প্রথম দলের নাম ছিল দলের প্রার্থিতালিকায়। তাই মনোনয়ন দিয়েছিলেন তাঁরা। ‘গোঁজ’ হিসেবে মনোনয়ন দেন দ্বিতীয় গোষ্ঠীর লোকজন। কিন্তু দল প্রতীক দেওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে, সেই দ্বিতীয় গোষ্ঠীই হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের প্রকৃত প্রার্থী। আর তালিকায় নাম থাকা প্রথম দলের লোকেরা বনে গিয়েছেন ‘গোঁজ’ প্রার্থী। এমন উলট-পুরাণের জেরে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল সিপিএম!
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, রায়না-২ ব্লকে মনোনয়ন জমার শেষ দিনে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ হয়। আটটি পঞ্চায়েতের ১৪৪টি আসনে প্রার্থী হিসেবে দলের ব্লক সভাপতি অসীম পালের অনুগামী বলে পরিচিতদের নাম ছিল। কিন্তু বিধায়ক (রায়না) শম্পা ধাড়ার অনুগামী বলে পরিচিত অনেকেও মনোনয়ন দেন। প্রতীক দেওয়ার সময়ে দলীয় নেতৃত্ব বিধায়কের ৬৭ জন অনুগামীকে মনোনীত করেন। ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ ৭৭ জন প্রতীক পান। কিন্তু তাঁদের গোষ্ঠীর অনেককে প্রতীক না দেওয়ার প্রতিবাদে ব্লক সভাপতির অনুগামীরা মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
মঙ্গলবার তাঁদের অনেকেই মনোনয়ন তুলে নেন। এই পরিস্থিতিতে আরও কয়েক জন বিধায়ক অনুগামীকে প্রতীক দেয় দল। তবে সময়ের অভাবে সব আসন থেকে ব্লক সভাপতির অনুগামীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে না পারায়, ৮০টি আসনে ‘গোঁজ’ হিসেবে রয়ে গিয়েছেন তাঁরা। আবার, চারটি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নেই। রায়নার দু’টি ব্লকে আগেই দু’টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে সিপিএম। এ দিনের পরে আরও একটি আসনে সিপিএম ছাড়া কারও প্রার্থী রইল না। ব্লক সভাপতি অসীমের দাবি, ‘‘দলকে যাঁরা খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরই বিধায়ক প্রতীক দিলেন! আমরা হতাশ।’’ বিধায়ক শম্পার প্রতিক্রিয়া, ‘‘দলকে অপদস্থ করার কোনও অর্থ নেই।’’ তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা পর্যালোচনা করছি। আশা করছি, নির্দলেরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করবেন।’’