সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের নীতির বাইরে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে বামেদের তরফে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও রকম সমঝোতার চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ফের হুঁশিয়ারি দিল সিপিএম। একই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রয়াস হলেও। তবে কংগ্রেস-সহ ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে সিপিএমের আসন সমঝোতার কথা জেলা ও স্থানীয় স্তরে চলছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে সেই সংক্রান্ত ছবি পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের আশা।
বুধবার রাজ্য কমিটির জবাবি ভাষণে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম স্পষ্ট করে দিয়েছেন, একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর রফার পথে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বামেদের ভোট লড়তে হবে নিজেদের জোরেই। সেলিম এ দিন বলেছেন, ‘‘রাজ্য স্তরে কোনও জোট হচ্ছে না। তবে বিজেপি এবং তৃণমূলের কাছে যারা শিরদাঁড়া জমা দেয়নি, তাদের সঙ্গে জেলা, ব্লক বা পঞ্চায়েত স্তরে সমঝোতা হতে পারে। সেই সংক্রান্ত আলোচনা চলছে, সাফল্যও আসছে। আর ৭-১০ দিনের মধ্যে এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটিতে বলা হয়েছে, প্রার্থী বাছাইয়ের বকেয়া কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে দ্রুত। যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার দিনেই সিপিএম জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার জায়গায় থাকে।
শুভেন্দু অধিকারী যখন ‘নো ভোট টু তৃণমূল’-এর আহ্বান নিয়ে ঘুরছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন খড়গপুরে বলেন, ‘‘বিজেপির কারও সঙ্গে জোট করার দরকার নেই। ...যাঁদের নিজেদের পায়ের তলার মাটি নেই, তাঁরা জোট করছেন।” তার পরেই অবশ্য দিলীপ বলেন, “বিজেপি লড়াই করছে। কেউ যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়, স্বাগত জানাব।”
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এ দিন বলেন, ‘‘মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিজেপি এখন ‘নো ভোট টু তৃণমূল’-এর নামে বামেদের পাশে টানার কথা বলছে। বিজেপির সঙ্গে বামেদের লড়াই আদর্শগত। বিজেপি-বিরোধী শক্তি হিসেবে তৃণমূলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন আছে।’’