সুশান্ত ঘোষ। ছবি সংগৃহীত।
শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করেছিল দল। সেই ‘শাস্তি’র মেয়াদ ফুরোচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যে। আবার পশ্চিম মেদিনীপুরে নিজের জেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এমতাবস্থায় ভোটের আগে দলের নিচু তলার দাবি মেনে প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে কাজে লাগাতে চাইছে সিপিএম। পশ্চিম মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহল সংলগ্ন নানা এলাকায় তাঁকে নিয়ে কর্মসূচি সাজাচ্ছে দলই।
আদালতের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে দীর্ঘ দিন বাদে আগামী ৬ ডিসেম্বর গড়বেতায় যাওয়ার কথা সুশান্তবাবুর। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর আলোচনায় ঠিক হয়েছে, ওই দিনের কর্মসূচিতে দলীয় নেতৃত্বও তাঁর সঙ্গে থাকবেন। গড়বেতায় ৬ তারিখের কর্মসূচিতে থাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রই এখন রাজ্য নেতৃত্বের তরফে পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্বে। তিনি রাজ্য ও জেলার অন্য নেতাদেরও সুশান্তবাবুকে নিয়ে সমন্বয় করে কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেছেন। সুশান্তবাবুও ইতিমধ্যে আলিমুদ্দিনে গিয়ে দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর কায়দায় সুশান্তবাবুকে নিয়েও ‘দাদার সমর্থক’ নামে কিছু পোস্টার দেখা যাচ্ছিল। রাজ্য নেতাদের সুশান্তবাবু বলেছেন, তিনি দলের হয়েই কাজ করতে চান। তাঁর কথায় ‘ব্যক্তিগত প্রচার’ হচ্ছে, এমন যেন কেউ মনে না করেন। তৃণমূল আমলে জেলে গিয়ে এবং নানা চাপ মোকাবিলা করেও সুশান্তবাবু যে হাল ছাড়েননি, তাঁর এই ‘লড়াকু’ মনোভাব কাজে লাগানো উচিত বলেই সিপিএমের নেতা-কর্মীদের বড় অংশের মত। যা শুনতে হচ্ছে আলিমুদ্দিনকে।