— প্রতীকী চিত্র।
দলের সম্মেলন এবং বড় বৈঠকের আয়োজন এ বার কলকাতার বাইরে ছড়াতে চাইছে সিপিএম। আগামী রাজ্য সম্মেলন হুগলি জেলায় হবে বলে আগেই ঠিক হয়েছিল সিপিএমে। প্রথমে চন্দননগর এবং পরে রিষড়া বা কোন্নগরের কথা ভাবা হলেও শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, ডানকুনি শহরে আগামী বছর ২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি দলের রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। চন্দননগর বা কোন্নগরের তুলনায় ডানকুনির দূরত্ব কলকাতা থেকে কম। সে ক্ষেত্রে সম্মেলনের যে প্রতিনিধিরা কলকাতা বা আশেপাশের বাসিন্দা, তাঁরা সম্মেলনের দৈনিক প্রক্রিয়া সেরে নিজেদের জায়গায় ফিরে আসতে পারবেন। তাঁদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে হবে না। তারই পাশাপাশি, আগামী শীতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকও বসবে কলকাতা শহরের বাইরে। যা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও হয়নি।
দিল্লিতে সদ্যসমাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিপিএমের আগামী পার্টি কংগ্রেসের জন্য রাজনৈতিক পর্যালোচনার খসড়া রিপোর্ট আলোচনার পরে গৃহীত হয়েছে। সূত্রের খবর, দলের পরবর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা বাংলায়, আগামী ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি। সেখানে পার্টি কংগ্রেসের খসড়া রাজনৈতিক দলিল পেশ হওয়ার কথা। শীতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক সচরাচর দিল্লির বাইরে হয়। এ বার যে দিন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শুরু হবে, সেটা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবস। গত জানুয়ারিতে এই দিনে নিউ টাউনে বসুর নামাঙ্কিত গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজের সূচনা করেছিলেন সিপিএমের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সেই কাজ শেষে গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পর্বের উদ্বোধন এ বার করতে পারেন দলের পলিটব্যুরোর কো-অর্ডিনেটর প্রকাশ কারাট। তার পরে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসতে পারে নিউ টাউনেই অথবা হতে পারে নদিয়া জেলার কল্যাণীতে। যেখানে গত অগস্টে রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন ডেকেও আর জি কর-কাণ্ডের জন্য স্থগিত হয়েছিল। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বুধবার জানুয়ারির কর্মসূচি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক এ বার কলকাতার বাইরে করার পরিকল্পনা রয়েছে। নিউ টাউন ছাড়া কল্যাণীতেও সেই ব্যবস্থার সুযোগ রয়েছে। পরে স্থান চূড়ান্ত হবে।’’