দু’দিনের ওই পদযাত্রায় বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির পাশাপাশি সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন এবং এসইউসি-ও শামিল হবে। প্রতীকী ছবি।
বিভাজনের রাজনীতির বিরোধিতা করে এবং সম্প্রীতির ডাক দিয়ে হুগলি ও হাওড়ায় পদযাত্রায় নামছে বামেরা। দু’দিনের ওই পদযাত্রায় বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির পাশাপাশি সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন এবং এসইউসি-ও শামিল হবে।
রামনবমীকে ঘিরে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-সহ কিছু জায়গার ঘটনার জেরে তরজা বেধেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দল ফের মেরুকরণের রাজনীতির দিকে রাজ্যকে নিয়ে যেতে চাইছে, এই আশঙ্কা করে পথে নেমেই তার মোকাবিলার কথা বলেছিল সিপিএম। দুর্নীতির প্রতিবাদ, কাজের দাবি, গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াইকে সামনে রেখে বিভাজনের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক দিয়েছিল তারা। সেই সূত্রেই বাম দলগুলির মধ্যে আলোচনায় ঠিক হয়েছে, হুগলির কোন্নগরে বাগখাল থেকে কাল, রবিবার শুরু হবে পদযাত্রা। উত্তরপাড়া পর্যন্ত পৌঁছে সংক্ষিপ্ত সভা হবে।
পরের দিন সোমবার বালিখাল থেকে শুরু হয়ে জি টি রোড ধরে পদযাত্রা যাবে শিবপুর পর্যন্ত। সে দিন পদযাত্রা শেষে সভা হবে শিবপুর ট্রাম ডিপো মোড়ে। তার আগে আজ, শনিবারই সম্প্রীতির আহ্বান জানিয়ে কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের মিছিল রয়েছে পার্ক সার্কাস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। দু’দিনের মিছিলে সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রহণ করার আর্জি জানিয়ে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু শুক্রবার বলেছেন, ‘‘মানুষের জীবন-জীবিকার সমস্যা, তীব্র বেকারি, দারিদ্র, মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই-সংগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরাতে এই পরিকল্পিত উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে আদতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সব সম্প্রদায়ের গরিব মানুষজন, শ্রমজীবী জনগণ।’’