—ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে সভা নয়। কলকাতা জেলা সিপিএমের দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনেই ছোট আকারে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তীর স্মরণ-সভা আয়োজিত হতে চলেছে। অল্প লোকজন নিয়ে ওই সভায় কংগ্রেসকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। অন্য দিকে, নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ঠিক হওয়ার অপেক্ষার মধ্যেই প্রয়াত সভাপতি সোমেন মিত্রের স্মরণ-সভার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানে আমন্ত্রণ পাচ্ছে তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি-সহ সব দলই।
সিপিএম সূত্রের খবর, শ্যামলবাবুর স্মরণ-সভার দিন ঠিক হয়েছে ১৮ অগস্ট। মৃত্যুর আগে শ্যামলবাবুর করোনা ধরা পড়েছিল। কোভিড প্রোটোকল মেনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়, অন্য কারও শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার ব্যাপার সেখানে ছিল না। প্রমোদ দাশগুপ্ত, জ্যোতি বসু বা সুভাষ চক্রবর্তী— সিপিএমে প্রথম সারির নেতাদের স্মরণ-সভা বড় করে হওয়াই রেওয়াজ। কিন্তু পরিস্থিতির বিচারে প্রাক্তন মন্ত্রী ও সাংসদ এবং মৃত্যুকালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামলবাবুর ক্ষেত্রে তা করা যাচ্ছে না। শ্রমিক সংগঠনের মঞ্চ থেকেও অবশ্য শ্যামল-স্মরণের বন্দোবস্ত হবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব দলের নেতারাই। সব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েই স্মরণ-সভা করতে চায় প্রদেশ কংগ্রেস। স্মরণ-সভার জন্য আগামী ২৬ অগস্ট ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ব্যবহার করতে চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। তবে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাদের জানিয়েছেন, মেরামতির কিছু কাজের জন্য অনুশীলন কেন্দ্রে জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। ওই কেন্দ্রের বদলে কংগ্রেস নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম নিলে কোনও অসুবিধা নেই। সেই মতোই প্রস্তুতি নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে দলের এক বর্ষীয়ান নেতার বক্তব্য, ‘‘নতুন সভাপতি ঠিক হয়ে গেলে স্মরণ-সভা আয়োজন করতে সুবিধা হয়। এআইসিসি কী করে, দেখা যাক।’’