—প্রতীকী ছবি।
জোটের প্রশ্নে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে আগেই। কবে কার সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে, সেই চিন্তায় সময় ব্যয় না করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে দলের ভোট বাড়ানোর লক্ষ্যে এ বার ঝাঁপানোর ডাক দিল সিপিএম। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকের শেষ দিনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই বার্তাই দিয়েছেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সিপিএমের কোনও বিধায়ক নেই, লোকসভাতেও প্রতিনিধিত্ব শূন্য। এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে চাইছে সিপিএম। লোকসভা ভোটে ভোট-প্রাপ্তির শতাংশ বাড়িয়ে সেই পুঁজি নিয়ে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটির জবাবি বক্তৃতায় বৃহস্পতিবার রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, তাঁরা আগ বাড়িয়ে অন্য দলের বিষয়ে কথা বলতে যাবেন না। কংগ্রেস বা অন্য কোনও দলের সঙ্গে সমঝোতা ভাঙতেও যাবেন না। যখন আলোচনা হওয়ার, হবে। তার আগে বুথ কমিটি-সহ ভোটের প্রস্তুতির কাজ দলকে সেরে ফেলতে হবে। লোকসভার আসন ধরে ধরে পরিস্থিতির বিশ্লেযণ এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম তৈরি করে রাখার কথাও বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে।
রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষের পরে সেলিম এ দিন বলেছেন, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ তো বটেই, পরোক্ষ কোনও সংস্রব আমাদের থাকবে না। যারা বিজেপি বা তৃণমূল সম্পর্কে দুর্বল, যারা তাদের সঙ্গে কোনও ভাবে সংস্রব রাখতে চায়, সেই সব দল বা শক্তির থেকে শত সহস্র যোজন দূরে অবস্থান থাকবে আমাদের।’’ রাজ্য কমিটিতে ঠিক হয়েছে, আগামী ২১ জানুয়ারি লেনিনের প্রয়াণ শতবর্ষ উদযাপন করা হবে। রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে গেরুয়া শিবির যখন হিন্দুত্বের হাওয়া তুলবে, সেই সময়ে মানুষের রুটি-রুজির সমস্যা ও গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার ডাক দিয়ে কর্মসূচি নেবে সিপিএম। পাশাপাশিই, দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নতুন সম্পাদক রতন বাগচীকে প্রথা মেনেই এ বার রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে।