—প্রতীকী ছবি।
সমস্ত ধরনের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ সামনে রেখেও নিশ্চিত হতে পারছেন না বিজেপি। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে আরএসএসের মাধ্যমে ধর্মীয় জিগির তুলতে হচ্ছে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের আক্রমণের জবাবে এই ভাবেই পাল্টা আক্রমণে গেল সিপিএম। দশেরার দিনে আরএসএসের বার্ষিক অনুষ্ঠানে সরসঙ্ঘচালক ভাগবত বলেছেন, সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদীরা সংবাদমাধ্যম ও বিশিষ্ট জনদের একাংশকে নিজেদের ‘নিয়ন্ত্রণে’ রেখে নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থে দেশের সংহতিকে বিপন্ন করছে, সমাজে দ্বন্দ্ব বাড়াচ্ছে। ‘সাংস্কৃতিক মার্ক্সাবাদী’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে বামপন্থীদেরই দেশের সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক বলে নিশানা করেছিলেন ভাগবত। সেই প্রেক্ষিতে বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘মোহন ভাগবত এই সময়ে গোটা দেশে একমাত্র মার্ক্সীয় সংস্কৃতিকেই বিপদ বলে চিহ্নিত করেছেন। ওদের অভিধানে বহুত্ববাদ বলে কোনও শব্দ নেই। আসলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা, শক্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর মুখের ছবি সামনে রেখেও বিজেপি টের পাচ্ছে, তারা খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। তাই আরএসএসকে এবং ধর্মীয় জিগিরকেই সামনে আনতে হচ্ছে। ওদের অর্থনীতি, ওদের সাম্প্রদায়িক কারবার, প্ররোচনার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত দেশ জুড়ে জনমত তৈরির চেষ্টা করছে বামপন্থীরা। তাই এখন ‘সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদী’দের প্রধান শত্রু হিসাবে ভাগবতকে চিহ্নিত করতে হচ্ছে।’’ এনসিইআরটি-র পাঠ্যবইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ লেখার যে সুপারিশ এসেছে, তারও সমালোচনা করেছেন সেলিম।