দলের বিদায়ী রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘আন্দোলনের বার্তাকে আরও ছড়িয়ে দিতে এবং প্রকৃত অর্থে গোটা রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব রাখতে জেলার দিকেই তাকাতে হবে।’’
প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সম্পাদক পদে বদল এসেছে সদ্য। রাজ্য কমিটিতে উঠে এসেছে এক ঝাঁক নতুন মুখ। এ বার নতুন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও জেলা থেকে বেশ কিছু নতুন মুখকে নিয়ে আসতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য, মৃদুল দে, রবীন দেব, মিনতি ঘোষের মতো নেতা-নেত্রীরা রাজ্য কমিটি থেকে সরে যাওয়ার পরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও এ বার বেশ কিছু জায়গা ফাঁকা হচ্ছে। আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, যে সব জেলার নেতারা এখন সম্পাদকমণ্ডলীতে আছেন, তার বাইরে অন্য জেলা থেকেও প্রতিনিধি নিয়ে আসার ভাবনা রয়েছে দলে। পার্টি কংগ্রেসের পরে সিপিএমের নতুন রাজ্য কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল। সব কিছু ঠিকমতো চললে ওই সময়েই দলের নতুন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী গঠন করা হবে।
কান্নুরে সিপিএমের ২৩তম পার্টি কংগ্রেসে ১৭ জনের পলিটবুরো তৈরি হয়েছে। সিপিএমের রীতি মেনে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর আয়তনও তার মধ্যেই থাকবে। এমনকি, বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর কলেবর আগের চেয়ে সামান্য ছোটও হতে পারে। দলীয় নেতৃত্বের যা প্রাথমিক ভাবনা, তাতে দু’জন মহিলা মুখ নতুন আসতে পারেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে। তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি সম্ভাবনা বাঁকুড়ার দেবলীনা হেমব্রমের। জনজাতি নেত্রী দেবলীনা এ বার পার্টি কংগ্রেসেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া আরও দুই নতুন সদস্য শমীক লাহিড়ী ও সুমিত দে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে থেকে যাবেন বলেই এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে। তবে তাঁদের দু’জনকেই জেলা সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক হিসেবে শমীকের বদলে এক প্রাক্তন বিধায়ক এবং নদিয়ায় সুমিতের পরিবর্তে এক প্রাক্তন সাংসদ, জেলা পরিষদের এক প্রাক্তন পদাধিকারী-সহ দু’তিন জনের নাম নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে। সংশ্লিষ্ট দুই জেলা কমিটির বৈঠক ডেকে নতুন জেলা সম্পাদকের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
শিলিগুড়ির অশোকবাবু অব্যাহতি নেওয়ার পরে উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে প্রতিনিধি রাখতে চান আলিমুদ্দিনের নেতারা। এখন কেন্দ্রীয় কমিটিতেও উত্তরবঙ্গ থেকে কেউ নেই। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি বা উত্তর দিনাজপুর থেকে কাউকে নতুন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে দেখা যেতে পারে। মুর্শিদাবাদ, কলকাতা এবং দুই মেদিনীপুর বা ঝাড়গ্রামের মতো জেলা থেকেও দুই বা তিন জনকে নেওয়া হতে পারে। দলের বিদায়ী রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘আন্দোলনের বার্তাকে আরও ছড়িয়ে দিতে এবং প্রকৃত অর্থে গোটা রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব রাখতে জেলার দিকেই তাকাতে হবে।’’