Sujan Chakraborty

শিক্ষায় নিয়োগ, ব্রাত্য বিভ্রান্ত করছেন: সুজন

সুজনের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী ২২ মার্চ বিধানসভায় আড়াই লক্ষ শূন্য পদে নিয়োগের কথা বলেছিলেন। কিন্তু আট মাসে প্রাথমিকে মোটে ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গাজর ঝুলিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ০৭:২৪
Share:

সুজনের অভিযোগ, অতিরিক্ত পদে নিয়োগের নামে সব তালগোল পাকিয়ে দিয়ে ফের নিয়োগ করতে চাইছে রাজ্য। ফাইল চিত্র।

স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে আন্দোলনরতদের একাংশ সম্প্রতি বাম আইনজীবী, রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অপেক্ষমাণ তালিকা বা ওয়েটিং লিস্টের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত পদ তৈরি করে রাজ্য সরকারের নিয়োগ প্রচেষ্টার উপরে আদালতের স্থগিতাদেশের পরই এমন ঘটেছে।

Advertisement

শনিবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে জানান, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে তাঁরা যেন এক হয়ে থাকেন। সুজনের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী ২২ মার্চ বিধানসভায় আড়াই লক্ষ শূন্য পদে নিয়োগের কথা বলেছিলেন। কিন্তু আট মাসে প্রাথমিকে মোটে ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গাজর ঝুলিয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, উচ্চ প্রাথমিকে ২০১৫ সালে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল। আজও তার নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। নবম-দ্বাদশে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা ২০১৬ সালে হওয়ার ছ’বছর পরে আর এক বারও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

সুজনের অভিযোগ, অতিরিক্ত পদে নিয়োগের নামে সব তালগোল পাকিয়ে দিয়ে ফের নিয়োগ করতে চাইছে রাজ্য। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, সময়ভিত্তিক দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ, বেআইনি নিয়োগ খারিজ এবং অপেক্ষমান তালিকায় থাকা যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শনিবার বলেন, ‘‘বিধানসভায় আমি বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলাম, রাজ্যে ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন। অর্থাৎ শূন্য পদ নয়, পূর্ণ পদ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আশা রাখি, সিপিএম পরের বার অন্তত এক জন প্রতিনিধি বিধানসভায় পাঠাতে পারবে। আশা রাখি, তখন আমার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement