প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্যবিধির আওতায় করোনায় মৃত মানুষের সৎকারে থাকা হয়নি তাঁদের প্রিয়জনেদের। শেষ ইচ্ছা পূরণের উপায়ও ছিল না অনেকের। অতিমারির ধাক্কায় বিপর্যস্ত মানুষের যন্ত্রণা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে এগিয়ে এল সিপিএম। করোনার কবলে পড়ে বা করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রিয়জন বা বন্ধু-বান্ধবেরা নিজেদের কাহিনি আরও অনেকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবেন এই মাধ্যমে। কোভিডমেমোরিয়াল ডট কম নামে ওই সাইট ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনে সাহায্য করবেন সিপিএমের ডিজিটাল শাখার স্বেচ্ছাসেবকেরা।
আলিমুদ্দিনে রবিবার ওই ভার্চুয়াল স্মরণ-মাধ্যমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘অনেকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারলে যন্ত্রণা একটু কমে। লকডাউনের মধ্যে অনেকেই করোনায় প্রিয়জনের মৃত্যুর খবর পেয়েও অন্য শহর বা বিদেশ থেকে আসতে পারেননি। সেই সব প্রবাসী মানুষেরাও এখানে সকলের সঙ্গে প্রিয় মানুষকে স্মরণ করতে পারেন।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘সামাজিক দূরত্ব’ যাতে শারীরিক দূরত্বের বেশি আর কিছু না হয়, সে দিকে খেয়াল রেখেই তাঁদের এই প্রয়াস।
অনুষ্ঠানে এ দিন ছিলেন অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী। তাঁর বাবা, সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা শ্যামল চক্রবর্তী মারা গিয়েছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে। ঊষসী বলেন, ‘‘বাবার বেলায় আমরা তা-ও একটা ছোট্ট শোক মিছিল করেছিলাম। অনেকে কিছুই করতে পারেননি। শুধু ব্যক্তিগত শোকই নয়, অতিমারি গোটা সমাজ এবং অনেকগুলো প্রজন্মের উপরে তার দাগ রেখে যায়। সরকারের কাছে অনুরোধ, যুদ্ধের পরে যে রকম হয়, সে ভাবে স্থানীয় এলাকায় কোভিড-স্মারক তৈরি হোক। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বা কোভিড-যোদ্ধা হিসেবে যাঁরা প্রয়াত, তাঁদের স্মরণ করতে আমরা তা হলে কোথাও জড়ো হতে পারি।’’