জ্যোতি বসুকে নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র গড়বে সিপিএম।
দেশের বাম রাজনীতিতে তাঁর সমতূল্য নেতা এখনও সিপিএম নেতৃত্বের কাছে নেই। আগামী শুক্রবার সেই কিংবদন্তী নেতা জ্যোতি বসুর ১০৯তম জন্মদিন। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে খবর, জন্মদিনেই তাঁর নামাঙ্কিত গবেষণা কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হবে। ওই কেন্দ্রের নাম হবে ‘জ্যোতি বসু কেন্দ্র’। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্মরণে এই গবেষণা কেন্দ্রটি তৈরির কাজ করবে ‘জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ’ নামে একটি সংস্থা। এই কেন্দ্রে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহৃত সামগ্রীর প্রদর্শনী কক্ষ যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও রাজ্যস্তরে কমিউনিস্ট এবং বামপন্থী রাজনীতি সংক্রান্ত দলিলের ভাণ্ডার। যা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষকদের কাজ করার জন্য খোলা থাকবে।
এই গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান করা হয়েছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। বামফ্রন্ট জমানার শেষ দিকে জ্যোতিবাবুর প্রয়াণের পর নিউটাউনে একটি জমি কিনেছিল রাজ্য সিপিএম। সেই সময় এই জমিটি কিনতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা খরচ করেছিল দল। সেই সময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল রাজ্যে অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এলে গবেষণা কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হবে । কিন্তু ২০১১ সালে পালাবদলের পর জমির হস্তান্তর নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। থমকে যায় গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের কাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ওই জমি পাকাপাকি ভাবে হাতে আসে সিপিএম নেতৃত্বের। এখন সেখানে নির্মাণের নকশা তৈরির কাজ চলছে। একবার নকশা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলে, দ্রুতই নির্মাণকাজও শুরু হয়ে যাবে। শুক্রবার দুপুরে গবেষণা কেন্দ্র তৈরির শিলান্যাস অনুষ্ঠান হবে।
অন্য দিকে, এ বার জ্যোতি বসুর জন্মদিনে গাছের চারা বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। ওই দিন প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে জ্যোতি বসুর স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেছে সিপিএম। কলকাতা জেলা সিপিএমের সদর দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জ্যোতি বসু সম্বন্ধীয় বক্তৃতা করবেন সর্বভারতীয় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান।