—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটে বাংলায় বিপর্যয়ের পরে শনিবার বৈঠকে বসেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে দলের ‘অসহায়তা’র কথা তুলে ধরেছেন নেতারা। জানা গিয়েছে, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এখনই কোনও পর্যালোচনার দিকনির্দেশ করছে না। রবিবার সিপিএমের পলিটব্যুরোর বৈঠক রয়েছে। তার পর, জুনের ১৯-২০ সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক বসবে। ওই বৈঠকের আগে আরও এক বার বৈঠকে বসবে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। সেই বৈঠক থেকেই কোন কোন প্রশ্নে পর্যালোচনা হবে তা নির্ধারিত হতে পারে।
শনিবারে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের নির্যাস: বাস্তবতা অনুযায়ী তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলেরই বিরোধিতা করতে হয়েছে। এতেই তৃতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছে বামেরা। এ দিনের বৈঠকে এক নেতা বলেন, “আমরা অসহায়। আমাদের এর বাইরে কিছু হওয়ার ছিল না।” তবে একুশের তুলনায় কিছু আসনে ভোটবৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
একের বদলে দুই শত্রুকে আক্রমণ করতে গিয়েই কি বিপর্যয় বাংলায়? এই প্রশ্নে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, বিজেপি সম্পর্কে নরম হলে মতাদর্শগত ভাবে দল উঠে যাবে। তৃণমূল সম্পর্কে নরম হলে পার্টিতে কেউ থাকবেই না। রাজ্য এবং দেশের বাস্তবতার মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়েই ভোট-বিপর্যয় হয়েছে বলে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর কতিপয় সদস্য আলোচনা করেছেন।
সূত্রের খবর, সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্যই শনিবারের বৈঠকে তাঁদের হতাশা ব্যক্ত করেছেন। আলোচনার অভিমুখ খুঁজে পাননি। পলিটব্যুরো বৈঠকের আগে সেই অর্থে বাংলায় দলের বিপর্যয় কেন, তার সুনির্দিষ্ট কারণগুলি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ভবিষ্যৎ কী? সিপিএম সূত্রে খবর, আপাতত সময়ের উপরেই সবটা ছেড়ে দিতে চাইছেন পার্টির অধিকাংশ নেতা।