সিপিএম রাজ্য দফতরের সামনে হিন্দু মহাসভার সদস্যেরা। —সংগৃহীত।
অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা গ্রহণ করল না সিপিএম। মঙ্গলবার বিকেলে হিন্দু মহাসভার সদস্যদের কার্যত মুখের উপর সিপিএম রাজ্য দফতরের সদর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী।
দু’দিন আগেই এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি বিজয়া দশমী উপলক্ষে তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। মঙ্গলবার তাদের সূচিতে ছিল রাজনৈতিক দলগুলির অফিসে গিয়ে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি, কার্ড, ইত্যাদি দেওয়া। রাজ্যের চার প্রধান রাজনৈতিক দলের দুয়ারে পৌঁছে যেতে চেয়েছিল তারা। সেই মতো বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএম রাজ্য দফতরে পৌঁছন চন্দ্রচূড়-সহ হিন্দু মহাসভার চার জন। তাঁদের মধ্যে দুই মহিলাও ছিলেন। কিন্তু হিন্দু মহাসভার দাবি, তাঁদের দেখে ‘সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম পালিয়ে গিয়েছেন’। দরজাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। দফতরের দু’জন কর্মী এসে জানিয়ে দেন, শুভেচ্ছা গ্রহণ করা হবে না।
আনন্দবাজার অনলাইনকে সেলিম বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম সূত্রে জেনেছিলাম ওঁরা দুপুর দেড়টা নাগাদ আসবেন। সাড়ে তিনটে নাগাদ আমি যখন বেরোচ্ছি তখন দেখি কয়েক জন গেটের সামনে সং সেজে এসেছেন।’’ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, ‘‘আমরা আগেই পার্টি অফিসের গেটে পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছিলাম— এখানে সবাইকে স্বাগত। কেবল সাম্প্রদায়িক, জাতিবাদী, ধর্মান্ধরা নন।’’
সিপিএম রাজ্য দফতরের গেটে পোস্টার। —সংগৃহীত।
চন্দ্রচূড় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএম রাজ্য দফতরের মূল ফটকের সামনে থেকে ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘আমরা আজকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দফতরেই যাচ্ছি। কিন্তু এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, সিপিএম রাজ্য দফতরে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হল না।’’
তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি— সব দলেরই রাজ্য দফতরে মঙ্গলবার গিয়েছিল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। চন্দ্রচূড়ের দাবি, বাকি সব দলের দফতর তাঁদের বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা, মিষ্টি, কার্ড গ্রহণ করেছে। এর আগে সোমবার বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে ইডি ও সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন চন্দ্রচূড়েরা। তবে বিজয়া দশমী উপলক্ষে তাঁদের ‘দুয়ারে শুভেচ্ছা’ কর্মসূচির সব ভাল (যার শেষ ভাল) হল না। আটকে গেল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে।