প্রতীকী ছবি।
ভোটে ভরাডুবি হয়েছে। কিন্তু বিপর্যয়ের জন্য জোটই দায়ী, এমন সিদ্ধান্তে এখনই আসতে রাজি নয় সিপিএম। জেলা নেতৃত্বের কাছে আগে পর্যালোচনা রিপোর্ট চেয়েছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। তার পরে চলতি মাসের শেষে বা জুনের প্রথম দিকে রাজ্য কমিটি বসবে নির্বাচনী বিপর্যয় নিয়ে ময়না তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার জন্য।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ এবং দলের বিধায়ক-ঝুলি শূন্য হয়ে যাওয়ার পরে বুধবার প্রথম বৈঠক ছিল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র স্লিপ ডিস্ক-এ আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত বাইরে বেরোতে পারছেন না। দলীয় সূত্রের খবর, অনলাইন আলোচনায় এ দিন রাজ্য নেতৃত্বের অধিকাংশই মত দিয়েছেন যে, জোট কার্যকর করার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা নিশ্চয়ই ছিল। কিন্তু দলেরই একাংশ-সহ নানা মহল থেকে যে ভাবে জোটের সিদ্ধান্তের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে, এত সহজে বিপর্যয়ের কারণ ঠিক করে ফেলা উচিত নয়। জেলাগুলির কাছ থেকে মতামত নিয়েই আরও বিশদে আলোচনার কথা বলেছে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আপাতত কোভিড মোকাবিলায় ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-সহ অন্যান্য উদ্যোগের পাশে সাংগঠনিক ভাবে দাঁড়িয়ে বিপন্ন মানুষকে সহায়তা দেওয়াই অগ্রাধিকার থাকবে।
বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল পর্য়ালোচনার জন্য মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চবনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের দল গঠন করেছে এআইসিসি। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব-সহ প্রাক্তন বিধায়ক, জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ওই দলের সদস্যেরা কথা বলবেন। প্রাক্তন সাংসদ বা দলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীরাও মতামত জানাতে পারবেন। বামেদের হাত ধরতে গিয়েই ভোটে বেনজির ভরাডুবি হল, এমন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছননি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও। তবে সিপিএম ও কংগ্রেস, দু’দলের রাজ্য নেতৃত্বেরই বড় অংশের মত, বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে যা করণীয়, এখনই শুরু করতে হবে। পরের লোকসভা ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করলে চলবে না! জোটের আর এক শরিক আইএসএফের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকীও বলেছেন, এক বিধায়ক নিয়েই তাঁরা সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে থাকতে চান।