আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। ছবি সংগৃহীত।
সংখ্যালঘুদের ‘বঞ্চনা’র প্রশ্নকে হাতিয়ার করে বাংলার ভোটের ময়দানেও নামতে চাইছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এমআইএম। ফুরফুরায় এসে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে জোটের কথা বলেছেন ওয়েইসি। সংখ্যালঘু সংগঠনের এমন জোটের প্রশ্নে সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেস। তবে শুধু সংখ্যালঘুদের ‘বঞ্চনা’র কথা বললে তাতে বিজেপিরই সুবিধা হয় বলে তাদেরও মত।
ওয়েইসির দল এসে সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসালে তৃণমূলের বিপদ বাড়বে, এমন ‘প্রত্যাশা’র কথা বলেছেন বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সংখ্যালঘু ভোটের বিভাজন এড়াতে ওয়েইসি-আব্বাসদের সঙ্গে কি বাম ও কংগ্রেসের সমঝোতা হতে পারে? বিশেষত, আব্বাসের সঙ্গে যে হেতু বাম ও কংগ্রেস নেতারা যোগাযোগ রেখেছেন। এই প্রশ্নে সোমবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘‘ওয়েইসি কার নেতৃত্বে লড়বেন, উনিই বলতে পারবেন। ওঁরা তো আমাদের জোটের কথা বলেননি। তা ছাড়া, এ সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া এআইসিসি-র উপরে নির্ভর করে।’’ সেই সঙ্গেই মান্নান বলেন, ‘‘তবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বা কর্মসংস্থান না হওয়ার যন্ত্রণা হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান সকলের। বছরে দু’কোটি চাকরি বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা কি শুধু হিন্দুরা পেয়েছেন, মুসলিম বা অন্য কেউ পাননি? তা হলে লড়াইটা হওয়া উচিত প্রতারকদের সঙ্গে প্রতারিতদের।’’ একই প্রশ্নে এ দিন কলকাতায় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘এমআইএম আলোচনার প্রস্তাব দেয়নি। প্রস্তাব এলে তবে তো ভাবনা-চিন্তা! তবে বিভিন্ন বিষয়ে ওদের আগে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।’’ চলতি সপ্তাহেই আব্বাসের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার কথা মান্নানের।