বিমান বসু ও অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
বামেদের সঙ্গে জোটে আনুষ্ঠানিক সম্মতি দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আসন-ভাগের আলোচনা শুরুর আগে রাজ্য স্তরে যৌথ আন্দোলনের মাত্রা বাড়ানোর দিকেই এখন নজর দিচ্ছে বাম ও কংগ্রেস। দুই শিবিরেরই মত, আন্দোলনের তীব্রতা ও ধারাবাহিকতা আসন-রফায় সুবিধা করে দেবে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আগামী ২৯ ডিসেম্বর অবস্থান-মঞ্চে একসঙ্গে হাজির হয়ে এই নতুন পর্বের যৌথ কর্মসূচির সূচনা করতে চাইছে দু’পক্ষ।
এআইসিসি-র আনুষ্ঠানিক সম্মতির পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। ঠিক হয়েছে, বামেদের আমন্ত্রণে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ২৯ তারিখের অবস্থানে যাবেন প্রদীপবাবুরা। বিমানবাবু এবং অধীরবাবুরা কেউই আসন সমঝোতা নিয়ে ২০১৬ সালের ‘ভুল’-এর পুনরাবৃত্তি চাইছেন না। বিমানবাবুর কথায়, ‘‘নিচু তলায় নানা জায়গায় ভাল ভাবে হলেও রাজ্য স্তরে যৌথ কর্মসূচি এখনও সে ভাবে নিয়মিত হয়নি। আসন নিয়ে কথা আরও একটু পরে হলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু আন্দোলনের বার্তা আগে ভাল ভাবে ছড়িয়ে যাওয়া দরকার।’’
এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছুটা সময় যে বেরিয়ে গিয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন প্রদীপবাবুরাও। তবে হাইকম্যান্ডের সবুজ সঙ্কেতের পরে তাঁরাও এখন বেশি করে যৌথ কর্মসূচির পক্ষপাতী। প্রদীপবাবু শুক্রবার বলেন, ‘‘বিজেপি আর তৃণমূল একে অপরকে গাল দিচ্ছে, হিংসার রাজনীতি চলছে। এই ষাঁড়ের লড়াই থেকে বাংলার রাজনীতিকে বার করতে হবে! এই তরজা দেখে ক্লান্ত, বিরক্ত মানুষের কাছে কংগ্রেস ও বাম জোটই যে স্বচ্ছ বিকল্প, তা বোঝাতে আরও আন্দোলন কর্মসূচি চাই।’’
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমও এ দিন বলেছেন, ‘‘গত বছরদেড়েক ধরে বাম এবং কংগ্রেস একসঙ্গেই রাস্তায় আন্দোলন করেছে। এখন যুদ্ধের জন্য রেখা টানা হয়ে গিয়েছে। আগামী নির্বাচনে এক দিকে থাকবে বাম, কংগ্রেস ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি, অন্য দিকে বিজেপি-তৃণমূল।’’