CPM

CPM: বাংলায় ‘শূন্য’ হওয়া নয়, তিন রাজ্যে বিজেপি-র হারেই গুরুত্ব সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির

পরের ধাপে রাজ্যওয়াড়ি ফলাফল বিশ্লেষণে এসেছে, ‘১৯৪৬ সালের পরে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বামেদের কোনও প্রতিনিধি না থাকা’র প্রসঙ্গ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২১ ১৮:৪৮
Share:

পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল পর্যালোচনা সিপিএমের। ফাইল চিত্র।

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর্যালোচনায় বসেছিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই পর্যালোচনায় পশ্চিমবঙ্গে দলের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে চলে গেল নীচের সারিতে। বরং সামনে চলে এল বিজেপি-র হারের প্রসঙ্গ। কেরল এবং তামিলনাড়ুর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে হার গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা বলে দাবি করেছেন সীতারাম ইয়েচুরিরা।

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন দিনের বৈঠক শুরু হয়েছিল শুক্রবার। রবিবার তা শেষ হয়। বৈঠকের প্রথম পর্বে ছিল পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী পর্যালোচনা। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের রাজ্য দফতরে বসেই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যেরা। সোমবার কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে বৈঠকের আলোচ্যসূচি এবং সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনী পর্যালোচনার মুখবন্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে দলের ‘শূন্য’ হয়ে যাওয়ার ‘ইতিহাস’ই অনুপস্থিত।

Advertisement

অবশ্য, পরের ধাপে রাজ্যওয়াড়ি ফলাফল বিশ্লেষণে এসেছে, ‘১৯৪৬ সালের পরে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বামেদের কোনও প্রতিনিধি না থাকা’র প্রসঙ্গ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ফল থেকে শিক্ষা নিয়ে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সঙ্গে পর্যালোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটি প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেবে। তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ সেই সেখানেও আত্মসমালোচনার আগে ঠাঁই পেয়েছে বিজেপি-র হারের প্রসঙ্গ। বলা হয়েছে, ‘বিজেপি তার সমস্ত অর্থশক্তি এবং কাঠামো ব্যবহার করেছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ স্পষ্ট ভাবে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে।’ বিজেপি-কে রুখতে তৃণমূল বা তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভূমিকা’র কথা অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছে সিপিএম।

দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক পরম্পরা ভেঙে কেরলে বাম সরকারের প্রত্যাবর্তনের জন্য সে রাজ্যের দলীয় নেতৃত্ব এবং সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ে সিপিএমের দু’টি আসন জয় এবং এডিএমকে-বিজেপি জোটের হারেও সন্তোষ প্রকাশ করেছে সিপিএম।

Advertisement

অসমে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিজেপি-বিরোধী মহাজোটের শরিক ছিল সিপিএম। উত্তর-পূর্বের বৃহত্তম রাজ্যে একটি আসনও জিতেছে তারা। কেন্দ্রীয় কমিটি লিখেছে, বিরোধী জোটের তুলনায় মাত্র ০.৭৮ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে সেখানে সরকার গড়েছে বিজেপি।

রাজনৈতিক আলোচনায় এসেছে উত্তর-পূর্বের আর এক রাজ্য ত্রিপুরার পরিস্থিতির কথা। কার্যত তৃণমূলের সুরেই বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুলেছেন ইয়েচুরিরা। আগামী বছর এপ্রিলে কেরলের কান্নুরে সিপিএমের ২৩তম পার্টি কংগ্রেস হতে চলেছে। তার প্রস্তুতির বিষয়েও আলোচনা করেছে সিপিএমের শীর্ষ কমিটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement