মৌলালি যুব কেন্দ্রে অভীক দত্তের স্মরণসভা। —নিজস্ব চিত্র।
স্বাধীনতার পরে এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখে কখনও পড়তে হয়নি বলে খোলাখুলিই মানছেন তাঁরা। পুরনো লড়াইয়ের অভিজ্ঞতার সঙ্গে এখনকার পরিস্থিতি সব জায়গায় মিলছেও না। এমতাবস্থায় সর্বশক্তি দিয়ে তৃণমূল স্তরে গিয়েই লড়াই চালানোর ডাক দিচ্ছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রতি তাঁদের আহ্বান, পরীক্ষার মরসুমে মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তার মধ্যে ঘরোয়া ভাবে হলেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটের বিরোধিতায় মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অভীক দত্তের স্মরণসভায় সোমবার মৌলালি যুব কেন্দ্রে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘আক্রমণ কোন দিক থেকে আসতে চলেছে, সেটা বুঝে নিয়ে প্রস্তুত হওয়া জরুরি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার অভিজ্ঞতা বর্তমান প্রজন্মের নেই। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘মেরুকরণে বিজেপি এবং তৃণমূল, দু’টো দলই মদত দিচ্ছে। এদের একটাকে দিয়ে অন্যটাকে মোকাবিলা করার ভাবনা সর্বনাশা। এদের বাইরে রেখে সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও মানুষকে একজোট করে লড়াই করতে হবে।’’ মাইকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে বাম ও সহযোগী মিলে ১৭টি দলের যে সব কর্মসূচি আছে, তার বাইরেও কর্মী-সমর্থকদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু। সিএএ, এনআরসি-বিরোধী আন্দোলন ছাড়াও স্থানীয় বিষয়ে পুরভোটের আগে কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।