কাজ ফেলে না রেখে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বকে ফের বার্তা দিচ্ছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। প্রতীকী ছবি।
রাজ্য কমিটির বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে দ্রুত এগোলেও পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার লক্ষণ এখনও দেখা না যাওয়ায় সেই প্রক্রিয়ায় কোথাও কোথাও ঢিলেমি এসেছে। কাজ ফেলে না রেখে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বকে ফের বার্তা দিচ্ছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন কবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাবে, তার জল্পনা চালিয়ে বসে থাকা চলবে না। বুথ কমিটি গঠন এবং প্রার্থী বাছাইয়ের বকেয়া কাজ সেরে ফেলতে হবে দ্রুত। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস-সহ গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি বা সংগঠনের সঙ্গে যেখানে যেখানে আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে, তা-ও অবিলম্বে সম্পূর্ণ করতে বলছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁদের ধারণা, আগামী জুলাইয়েই পঞ্চায়েত ভোট হবে। এর পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এখন যে ভাবে যে কোনও প্রশ্নে বামেদের নিশানা করছেন, বিরোধী দল হিসেবে তাকে ‘ইতিবাচক’ প্রেক্ষিতেই ধরে কর্মীদের বার্তা দিতে চাইছেন সিপিএম নেতৃত্ব। মুখে অবশ্যই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের জবাব দিচ্ছেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী যেমন বুধবার বলেছেন, ‘‘রাজ্যে লাল ঝান্ডা যত বেশি দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী তত সিপিএমের গন্ধ পাচ্ছেন। পুলিশ, খাদ্য দফতর, সরকারি কর্মচারী, পাবলিক সার্ভিস কমিশন— সর্বত্র তিনি সিপিএম দেখছেন। যদি উগ্র গন্ধও মনে হয়, তবু সিপিএমের গন্ধ এখন ওঁদের রোজ পেতে হবে!’’