—প্রতীকী ছবি।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন না তুললে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ডায়মন্ড হারবারের এক সিপিএম প্রার্থী। অভিযোগ, অন্য এক মহিলা প্রার্থীকে কার্যত অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে। সেই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সেই মামলায় মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। মঙ্গলবার আবার শুনানি হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন শ্যামল মণ্ডল এবং রেশমা আকুঞ্জি। তাঁদের আইনজীবী শামিম আহমেদ এবং সালোনি ভট্টাচার্য কোর্টে জানিয়েছেন, শ্যামলকে ক্রমাগত মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাতেই কার্যত তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। অভিযোগ, সাধারণ ভাবে পুলিশ শাসক দলের নিয়ন্ত্রণে থাকায়, এই হুমকি সহজেই কার্যকর করা সম্ভব বলে আশঙ্কা করেছিলেন শ্যামল।
রেশমা পেশায় আইসিডিএস কর্মী। অভিযোগ, তাঁকে কার্যত অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে। এর পরেই কোর্ট নির্দেশ দেয়, এই প্রার্থীদের অভিযোগ কমিশনকে নিরপেক্ষ ভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। এর জন্য একটি দল গঠন করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
অনেকেই অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কমিশন ঘোষণা করেছিল যে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে জেলাশাসকের দফতরে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে। এ ক্ষেত্রে কি তা করা হয়েছে? প্রার্থী যে নিজের কথাই লিখিত আকারে দিচ্ছেন, সে ব্যাপারে সরকারি আধিকারিকেরা নিশ্চিত হলেন কী ভাবে? অনেকে আরও বলছেন, মিগরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধেও পুলিশকে দিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে হাই কোর্টেও। তাতে এক আইপিএস-সহ ৯ জন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।