প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটের পরে এ বার জাতীয় দলের স্বীকৃতি ধরে রাখতে সমস্যায় পড়তে পারে তৃণমূল, সিপিআই এবং এনসিপি। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, কেন তাদের জাতীয় দলের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে শীঘ্রই ওই দলগুলিকে চিঠি পাঠানো হতে পারে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, কমিশনের এমন উদ্যোগ নিয়ে তারা আদৌ চিন্তিত নয়। তারা বরং নির্বাচন সংস্কারের অঙ্গ হিসেবে কমিশনেরই পুনর্গঠন চায়।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, জাতীয় দলের স্বীকৃতি ধরে রাখতে গেলে চার বা তার বেশি রাজ্যে লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলের প্রার্থীদের অন্তত ৬% ভোট পেতে হবে। লোকসভার মোট আসনের ২% (অর্থাৎ ৯টি আসন) দখলে থাকলেও জাতীয় দলের স্বীকৃতি থাকবে। তবে সেই আসনগুলি ছড়িয়ে থাকতে হবে অন্তত তিন রাজ্যে। তৃণমূল এ বার বাংলা থেকে ২২টি লোকসভা আসন জিতেছে, ভোট পেয়েছে ৪৩%। কিন্তু সে সবই শুধু বাংলায় কেন্দ্রীভূত। একই ভাবে সিপিআই এ বার মাত্র দু’টি আসন পেয়েছে তামিলনাড়ু থেকে। কেরলে সরকারে থেকেও তারা কোনও আসন জেতেনি। শরদ পওয়ারের এনসিপি আবার মহারাষ্ট্রেই শুধু ৫টি আসন পেয়েছে। জাতীয় দলের স্বাকৃতি রাখার শর্তপূরণ হচ্ছে না বলে তাদের চিঠি পাঠাতে পারে কমিশন।
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বলছেন, তাঁরা এই নিয়ে চিন্তিত নন। নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে বিতর্কে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে গিয়েছে। শাসক দলের তাঁবেদারির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। কলেজিয়াম থেকে কমিশন গঠন করাই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে তৃণমূলের মত।