এসএসকেএমে অনুব্রত মণ্ডল।
গরুপাচার মামলায় জেরা করা হয় অনুব্রতকে। তবে সিবিআইয়ের জেরার পরই এসএসকেএম হাসপাতালে গেলেন অনুব্রত। আবার কি বুকে ব্যথা?
চার ঘণ্টার জেরা সামলে নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেন অনুব্রত। তাঁকে তিন দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। তবে বেরিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত।
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে নিজাম প্যালেসে পৌঁছলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সাড়ে দশটার মধ্যে আসার কথা ছিল তাঁর। সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান। সহায়কদের হাত ধরে নিজাম প্যালেসের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেও দেখা যায়।
গত ২৫ এপ্রিল অনুব্রত সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে ছিলেন যে, সিবিআই যদি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করে তা হলে ২১ মে-র পর তিনি সিবিআইয়ের কলকাতা অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তত।
বার বার সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে এ বার নিজেই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন অনুব্রত। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁর পৌঁছনোর কথা ছিল নিজাম প্যালেসে। তার আগে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে ঠিক সকাল সোয়া ন’টা নাগাদ রওনা হয় অনুব্রতর গাড়ি।
গত ৬ এপ্রিল গরুপাচার-কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই। উল্লেখযোগ্য ভাবে ওই দিনই শারীরিক অসুস্থতার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। তবে তখন তিনি জানিয়েছিলেন, সিবিআই চাইলে হাসপাতালে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, এই মর্মে তিনি চিঠিও দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। হাসপাতাল থেকে ছুটির পরও সিবিআইকে তিনি চিঠি দিয়ে জানান, তাঁর বাড়িতে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি আছেন।
অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল নিজাম প্যালেসে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কলকাতার বাড়ি থেকে সময়েই রওনা হলেন অনুব্রত। লক্ষ্য কি নিজাম প্যালেস? এর আগে সিবিআইয়ের তলব পেয়েও অবশ্য তিনি সাড়া দেননি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুব্রতের বিরুদ্ধে গরুপাচার এবং ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের তদন্ত করছিল। দু’টি মামলাতেই বহুবার তদন্তকারীদের তলব এড়িয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সম্ভবত গরু পাচার মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ডাকা হয়েছে তাঁকে।