ফাইল ছবি
মোট তিন কোটি টিকাকরণের মাইলফলক পার হল পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় মিলিয়ে চার লক্ষের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। এ ভাবেই রাজ্যে মোট তিন কোটি দু’লক্ষের মতো টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ হল। যদিও মোট টিকাকরণের দু’কোটির বেশি প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে দ্বিতীয় টিকা পেয়েছেন প্রায় ৮৭ লক্ষ মানুষ।
রাজ্যে প্রথম এক কোটি টিকাকরণ করতে ১০০ দিনের বেশি সময় লেগেছিল স্বাস্থ্য দফতরের। যদিও পরের ৩৯ দিনেই আরও এক কোটি টিকাকরণ সম্পন্ন করে রাজ্য। এ বারও ৪০ দিনের ব্যবধানে আরও এক কোটি টিকা দিয়ে তিন কোটির ঘরে পৌঁছল রাজ্যের টিকাকরণের পরিসংখ্যান।
‘‘রাজ্যে মোট সাত কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। প্রত্যেককে প্রথম ও দ্বিতীয় মিলিয়ে আমাদের ১৪ কোটি টিকা প্রয়োজন। এর মধ্যে তিন কোটি টিকা দেওয়া শেষ করলাম আমরা। গত দু’দফাতেই প্রায় এক কোটি করে টিকা দিতে ৪০ দিনের মতো সময় লেগেছে। তবে টিকার জোগান বাড়লে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আরও বেশি টিকাকরণে প্রস্তুত। মাসে দেড় কোটি টিকা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো তৈরি রেখেছি আমরা,’’ বললেন রাজ্য টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ আধিকারিক চিকিৎসক অসীম দাস মালাকার।
ফাইল ছবি
রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় মিলিয়ে এখনও প্রায় ১১ কোটি টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে। আগামী দিনে যদি টিকার জোগান না বাড়ে আর এই গতিতেই রাজ্যে টিকাকরণ চলতে থাকে, তা হলে হিসাব মতো বাকি ১১ কোটি টিকা দিতে ৪৪০ দিন সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ এক বছর দু’মাস লেগে যেতে পারে রাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হতে।
জুলাইয়ের শেষ দিকে রাজ্যে কোভ্যাক্সিনের জোগান কমে যায়। টিকার জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। টিকার অভাবে যাতে প্রাপকদের দ্বিতীয় টিকা বাদ পড়ে না যায়, সে দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয় নবান্নের তরফে। আপাতত অগস্ট মাসে রাজ্যের জন্য টিকার বরাদ্দ কিছু বাড়লেও তৃতীয় ঢেউয়ের আগে তা কতটা পর্যাপ্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।