টিকার জোগান না থাকায় টিকাকরণ বন্ধ হয়ে গেল পূর্ব বর্ধমানের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ‘টিকার সরবরাহ বন্ধ’ লেখা ফ্লেক্স ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে। তবে কবে জোগান আসবে, কবে ফের টিকাকরণ শুরু হবে, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই তাতে। আগে থেকে কোনও ঘোষণা না থাকায় সকাল থেকে টিকাকরণের জন্য সকাল থেকেই মানুষের আনাগোনা শুররু হয় সেখানে। কিন্তু টিকা নেই জানতে পেরে খালি হাতে ফিরে যান তাঁরা। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে যে হারে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে টিকার আকাল দেখা দেওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ মে থেকে ১৮-র ঊর্ধ্বে সকলের সার্বিক টিকাকরণ শুরুর ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দেশের অন্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও যে টিকার আকাল উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে শুক্রবার সকালে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েই তা বোঝা গেল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে তখন অনেক প্রবীণ মানুষ ভিড় করে দাঁঢ়িয়ে রয়েছেন। ফ্লেক্স দেখে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন তাঁরা। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা হয় কি না, দেখছিলেন। কিন্তু কোনও রকম সাড়া না পেয়ে একে একে চলে যেতে শুরু করেন তাঁরা।
গত ২৫ জানুয়ারি থেকে জামালপুরের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ শুরু হয়। শুরুর দিকে সে ভাবে উৎসাহ দেখা না গেলেও, সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়ে চলায় বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভিড় উপচে পড়ছিল। কিন্তু আচমকা টিকাকরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ঋত্বিক ঘোষ বলেন, ‘‘টিকা শেষ হয়ে গিয়েছে আগেই। এখনও পর্যন্ত নতুন করে সরবরাহ এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু মানুষ কে বোঝাব কী করে? তাই ফ্লেক্স ঝোলাতে হয়েছে।’’ ফের কবে টিকাকরণ শুরু হবে, সদুত্তর মেলেনি তাঁর কাছ থেকেও।