হুগলির চকবাজার, বৌবাজার থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনগর বা ব্যান্ডেল বাজার— প্রায় সব সর্বত্রই করোনাবিধি অমান্য করার ছবি দেখা গিয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার সংক্রমণে রাশ টানতে এ বার মাঠে নামল পুলিশ-প্রশাসন। কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করে সংক্রমণ ঠেকানো ছাড়াও চলছে কোভিডবিধি নিয়ে সচেতনার প্রচার। শুরু করা হয়েছে নাকা চেকিংও। তবে দুর্গাপুজোর পর সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হলেও এখনও হুঁশ নেই আম জনতার।
হুগলি জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চলে ইতিমধ্যেই একাধিক এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘কোভিড পরীক্ষার রিপোর্টের মাধ্যমে যে সব এলাকায় তিন থেকে পাঁচ জন সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেই এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন করা হচ্ছে। এ ছাড়া কোভিডবিধি মেনে চলার জন্য মাইকের সাহায্যে প্রচারও চলছে।’’
রবিবার হুগলির উত্তরপাড়া এবং চুঁচুড়া পুরসভা এলাকার একাধিক বাজারে ঘুরে ঘুরে প্রচার করে পুর প্রশাসন। উত্তরপাড়া পুর প্রশাসক দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে প্রচারে নেমে জনসচেতনতায় জোর দিয়েছি। সকলকে মাস্ক পরতে বলছি। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতেও বারণ করা হচ্ছে। করোনা নিয়ে আতঙ্কের পরিবর্তে সচেতনা থাকা জরুরি।’’
হুগলির বাজারে চলছে প্রচার। —নিজস্ব চিত্র।
তবে প্রশাসনের নির্দেশ বা প্রচার সত্ত্বেও কোভিডবিধি নিয়ে বেপরোয়া মনোভাব আম জনতার। হুগলির চকবাজার, বৌবাজার থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনগর বা ব্যান্ডেল বাজার— সর্বত্রই প্রায় এক ছবি। মাস্ক না পরেই চলছে কেনাবেচা। দুর্গাপুজো শেষ হলেও কালীপুজো বা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজো এখনও বাকি। ফলে করোনার বিরুদ্ধে ঢিলেঢালা মনোভাব ঘিরে চিন্তা বাড়চ্ছে প্রশাসনের।
হুগলির মতোই প্রায় একই ছবি পূর্ব বর্ধমান জেলায়। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় ফের কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘শারদোৎসব থাকায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা সতর্ক ছিলাম। আরও সতর্ক হতে হবে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় রবিবার থেকেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করছে পুলিশ। নাকা চেকিং বাড়ানো, মাস্ক ব্যবহার করা বা করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যাতায়াতে বিধিনিষেধ থাকবে। হোটেল বা অন্যত্র জমায়েতে আসনসংখ্যার ৫০ শতাংশ ভর্তি রাখা যাবে।’’