প্রতীকী চিত্র।
ডেথ সার্টিফিকেট না পেলেও ফেলে রাখা হবে না করোনা রোগীর দেহ। জানালেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র। বৈঠক শেষে জানালেন, প্রয়োজনে ধাপার শবাগারে রাখা হবে দেহ। কিন্তু এলাকায় বা হাসপাতালে মতদেহ ফেলে রাখা হবে না।
করোনা রোগীদের দেহ সৎকার নিয়ে সমস্যা ক্রমে বাড়ছে কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলায়। সমস্যা মেটাতে এর আগে রাজ্যের তরফে ৪৬৬ জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছিল। নবান্ন জানিয়েছিল, এই অফিসারদের হাতেই থাকবে করোনায় মৃত রোগীদের দায়িত্ব। কলকাতা এবং শহরাঞ্চলের জন্য ১২৪ জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছিল নবান্নের তরফে। বাকি ৩৪২ জন নোডাল অফিসার নিযুক্ত হয়েছিলেন বাকি জেলায়।
মূলত ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়াই এ ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে রিপোর্ট ছিল প্রশাসনের কাছে। মঙ্গলবার ফিরহাদ জানালেন, মৃত্যুর শংসাপত্র না পেলেও এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হবে করোনা রোগীর দেহ। প্রয়োজনে ধাপায় শবাগারে রাখা হবে। সময়মতো শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হবে।
বস্তুত দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন ফিরহাদ হাকিম। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটররাও। সংক্রমণ ঠেকাতে কলকাতায় প্রশাসনের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
সোমবারই জয়ী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে মমতা বলেছিলেন কলকাতার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে। কলকাতার ১১ জন নবনির্বাচিত বিধায়ক এবং কলকাতা সংলগ্ন এলাকার আরও ৬ জন বিধায়ককে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও বলেন তিনি। বিষয়টির তত্ত্বাবধানের ভার দেওয়া হয়েছিল ফিরহাদকে। সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ করলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ।