একই দামে করোনা টিকা চেয়ে মোদীকে চিঠি মমতার।
করোনা টিকার মূল্য নির্ধারণের নীতি নিয়ে কেন্দ্রকে দুষেছেন আগেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বার দামের বৈষম্য দূর করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন। সমস্যা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর ‘ব্যক্তিগত উদ্যোগ’ও চাইলেন তিনি ।
চিঠিতে মোদীর উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, ‘কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির জন্য টিকার দামে ফারাক কেন? উৎপাদক সংস্থার থেকে কেন্দ্র প্রতিটি টাকা ১৫০ টাকা দরে কিনছে। কিন্তু রাজ্যগুলির জন্য নির্ধারিত দাম ৪০০ টাকা। কেন্দ্র নিজের জন্য যে দাম নির্ধারণ করেছে, রাজ্যগুলিকে তার চেয়ে ১৬৭ শতাংশ বেশি দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিপন্থী, গরিব বিরোধী’।
বৈষম্যের এমন ঘটনা ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলেও দাবি করেছেন মমতা। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘যুব বিরোধী’ বলেও চিহ্নিত করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ দিনাজপুরে নির্বাচনী জনসভায় মমতা ঘোষণা করেছেন, আগামী ৫ মে থেকে রাজ্যে বিনামূল্যে সার্বিক টিকাকরণ অভিযান শুরু করবে তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের বিনামূল্য তাঁর সরকার টিকা দেবে।
১ মে থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য তৃতীয় দফার টিকাকরণ অভিযানের আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে খোলা বাজারে টিকা বিক্রির ছাড়পত্র দিয়েছে। এর পরেই কোভিশিল্ড টিকার উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া জানায়, খোলা বাজারে টিকা প্রতি ৬০০ টাকা নেওয়া হবে। রাজ্যকে বিক্রি করা হবে ৪০০ টাকায়। কেন্দ্রের থেকে আগের মতোই টিকা পিছু ১৫০ টাকা দাম নেওয়া হবে।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে টিকার ভিন্ন দাম নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করে টুইটারে মমতা লেখেন, ‘এক দেশ, এক দল, এক নেতৃত্বের কথা বলে বিজেপি। কিন্তু জীবন বাঁচাতে এক দরে টিকা দিতে পারে না। প্রতিটি ভারতীয়ের বিনামূল্যে টিকা প্রয়োজন। বয়স, জাতি, গোষ্ঠী, ভৌগলিক এলাকা নির্বিশেষে টিকার একটিই দাম নির্ধারণ করা উচিত। রাজ্য ও কেন্দ্রের জন্য দু’টি আলাদা দর হওয়া উচিত নয়’।