স্কুলে স্কুলে চলছে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার থেকে খুলছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা অতিমারির কারণে দেড় বছরের বেশি সময় স্কুলের মুখ দেখেননি পড়ুয়ারা। ফেব্রুয়ারিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি খোলার পর আবার বন্ধ হয়েছিল। সেই সময় বাদ দিলে প্রায় ২০ মাস পর খুলছে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। তার আগে সোমবার জেলায় জেলায় দেখা গেল ব্যস্ততা।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হবে সরকারি নির্দেশ মেনে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে কোভিড-১৯ বিধি মেনে চলতে পারে তার জন্য প্রস্তুত হয়েছে স্কুলগুলি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের টিকাকরণ হলেও স্কুল পড়ুয়াদের অধিকাংশেরই এখনও হয়নি । এই পরিস্থিতিতে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। হুগলি জেলার বিভিন্ন স্কুলে সোমবার স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয়। প্রতিটি ক্লাসঘরে পড়ুয়াদের বসার বেঞ্চ, জানালা, দরজা, জীবানুনাশক ছেটানো হয়। পুরসভার কো-অর্ডিনেটর সঞ্জয় পাল বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। তাই ক্লাসরুমগুলি জীবাণুমুক্ত করতে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। এটা চলবে সপ্তাহে দু’দিন।’’
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থানীয় পুরসভার সহায়তায় স্যানিটাইজ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গেটে গেটে ‘থার্মাল গান’ নিয়ে থাকবেন নিরাপত্তা কর্মীরা। থাকবে স্যানিটাইজার গেটও। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, ‘‘২৮ অক্টোবর উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে আমরা নির্দেশ পেয়েছি। সেই মত সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বন্দোবস্ত করেছি।’’
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বিভিন্ন স্কুলেও সোমবার চলেছে সাফসুতরো, জীবাণুমুক্ত করার পালা। আসানসোল পুর নিগম থেকে এসেছেন বেশ কয়েকজন কর্মী। সঙ্গে রয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীরা। মাক্স, স্যানিটাইজার রাখা হচ্ছে বিভিন্ন স্কুলে। পাশাপাশি, পড়ুয়াদেরও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে মাক্স ও স্যানিটাইজার। দূরত্ব বিধি মানা, টিফিন ভাগ করে না-খাওয়া সহ একাধিক নিয়মকানুন পালন করা হবে স্কুলগুলিতে।’’
স্কুলগুলি কতটা তৈরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্কুল পরিদর্শক সুজিত মাইতি নিজেই পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন বারাসত পুরসভার মুখ্য পুর প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়। স্যানিটাইজেশন থেকে শুরু করে সাধারণ পরিচ্ছন্নতা বিষয়টি স্কুলে স্কুলে গিয়ে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সুজিত জানান, স্কুলগুলি কতটা তৈরি সেটাই খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের।