বসিরহাট আদালতের বাইরে শাহজাহান শেখ। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া শাহজাহান শেখকে আরও আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। ন্যাজাট থানায় পুলিশ যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল, সেই মামলাতেই বসিরহাট আদালত তাঁকে আট দিন সিবিআই হেফাজত রাখার নির্দেশ দিল। পাশাপাশি, সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে যে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদেরও নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। ওই সাত অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট আদালত।
এর আগে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছিল, তাতে শাহজাহানকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, শাহজাহানকে এখন জামিন দেওয়া দেওয়া হলে মামলার উপর প্রভাব পড়তে পারে। পাশাপাশি, ন্যাজাট থানায় পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল, সেই মামলাতেও অভিযুক্তকে ১৪ দিনের হেফাজতে রাখার আবেদন করে সিবিআই। শাহজাহানের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, সিবিআই তাঁকে আবার হেফাজতে রাখার আবেদন জানাতে পারে না। তবে সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল বসিরহাট আদালত। তবে, ১৪ দিন নয়, তাঁকে আপাতত সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে আট দিন।
উল্লেখযোগ্য, গত ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। তার পর ৫৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ‘সন্দেশখালির বাঘ’ বলে পরিচিত শাহজাহান। ৫৬ দিনের মাথায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলে। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।