অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
দাঁতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তাঁর মামলার শুনানি ছিল কলকাতার নগর দায়রা আদালতে। সেখানেই বিচারককে নিজের অসুস্থতার কথা জানালেন অর্পিতা। বিচারককে বললেন, ‘‘জেলে চিকিৎসা হলেও যন্ত্রণার উপশম পুরোপুরি হচ্ছে না।’’ যা শুনে জেল কর্তৃপক্ষের জবাব চাইলেন বিচারপতি। দিলেন বিশেষ নির্দেশও।
মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ইডির মামলার শুনানি ছিল আদালতে। এই মামলায় গত বছর জুলাই মাসে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকার নোট। উদ্ধার হয় বহুমূল্য সোনার গয়নাও। তার পর থেকে এক বছর দু’মাস কেটে গিয়েছে। এখনও জেলেই পার্থ-অর্পিতা। তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়নি কোনও আদালতেই। তবে নিয়মমাফিক শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবারও তেমনই শুনানি ছিল পার্থ এবং অর্পিতার। ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেল থেকে আদালতে হাজিরা দেন অর্পিতা। সেখানে বিচারকের সঙ্গে তাঁর নাতিদীর্ঘ একটি কথোপকথন হয়।
বিচারক: আপনার কি কিছু বলার আছে?
অর্পিতা: আমি অসুস্থ। দাঁতে ব্যথা হচ্ছে। জেলে চিকিৎসা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু পুরোপুরি ব্যথার উপশম হচ্ছে না।
এর পরেই জেল কর্তৃপক্ষকে অর্পিতার চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারক এবং বলেন, ‘‘দরকার হলে উনি বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। জেল কর্তৃপক্ষই তার ব্যবস্থা করবে।’’
তবে অর্পিতাকে জেলের বাইরে বেরিয়ে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দিলেও জামিন দেয়নি আদালত। আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে অর্পিতাকে। অর্থাৎ, এ বছরের পুজোও জেলেই কাটবে অর্পিতার। যেমন গত বছরও কেটেছিল।
অর্পিতার মতোই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ, রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য এবং নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার অয়ন শীলকেও ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।