প্রতীকী ছবি।
আরামবাগের একটি নার্সিংহোম থেকে সদ্যোজাত শিশু পাচারের মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি এত দিন মামলার দায়িত্বে থাকা আরামবাগ থানার তদন্তকারী অফিসার সোমদেব পাত্রের বিরুদ্ধেও সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ডিআইজি (সিআইডি) ব্যক্তিগত ভাবে ওই তদন্ত করবেন। স্থানীয় স্তরে বিষয়টি দেখবেন হুগলির এসপি।
সুভাষচন্দ্র লাহা নামে এক ব্যক্তি এই মামলা দায়ের করেন। তাঁর আইনজীবী নীলাদ্রিশেখর ঘোষ জানান, তাঁর সদ্যবিধবা পুত্রবধূ ৩ সেপ্টেম্বর আরামবাগের নলিনী নার্সিংহোমে সন্তানের জন্ম দেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিতে নরমাল ডেলিভারি এবং সদ্যোজাত জীবিত বলে লেখা রয়েছে কিন্তু সুভাষবাবুরা শিশুকে দেখতে পাননি। উল্টে নার্সিংহোম থেকে জানানো হয়, সুভাষবাবুর পুত্রবধূ গর্ভপাত করিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রথমে তাঁর পুত্রবধূ নীরব থাকলেও পরবর্তী কালে জানান, তিনি গর্ভপাত করাননি বরং সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। পরবর্তী কালে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নলিনী নার্সিংহোম থেকে অন্য নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সুভাষবাবুদের অভিযোগ, আরামবাগ থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা। কিন্তু পুলিশ আমল দেয়নি। উল্টে তদন্তকারী অফিসার বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নিতে বলেন। নার্সিংহোমের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন ও মিটমাট করার জন্য সুভাষবাবুকে টাকার লোভ দেখান। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কিছু নথি ও ভিডিয়ো দেখিয়ে দাবি করেন যে শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন এবং সুভাষবাবুকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা না-হওয়ায় শেষমেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুভাষবাবু। অভিযোগ, শিশুটিকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। নীলাদ্রিবাবু জানান, শিশু পাচারের বৃহত্তর পরিসরটি তদন্ত করবে সিআইডি। স্থানীয় ভাবে যে পাচারের অভিযোগ, তা হুগলির এসপিকে দেখতে বলা হয়েছে।