মুকুল রায় ও জগন্নাথ সরকার।
তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলা থেকে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে অব্যাহতি না দেওয়ার নির্দেশ দিল রানাঘাট আদালত। সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভদীপ মিত্র এই নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন সরকার পক্ষের আইনজীবী হিসাবে অসীমকুমার দত্ত এবং শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় এজলাসে হাজির ছিলেন। তাঁরা বলেন, “আমরা এই লড়াইয়ে জিতেছি। মুকুল রায় এবং জগন্নাথ সরকারকে বেকসুর খালাস করার বিরুদ্ধে যে আবেদন জানিয়েছিলেন আবেদনকারী মিলন সাহা, বিচারক তাকেই মান্যতা দিয়েছেন।”
গত ৯ ফেব্রয়ারি, সরস্বতী পুজোর আগের রাতে হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির কাছেই গুলিতে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূলের তদানীন্তন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সত্যজিৎ। মুকুল এবং জগন্নাথের নামে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এর মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। দু’জনকে প্রমাণাভাবে নিষ্কৃতি দানের আবেদন জানায় সিআইডি। তাদের সঙ্গে মুকুল এবং জগন্নাথও অব্যাহতি পান। সন্দেহের তালিকায় অন্তঃভুক্ত করেছে। যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পক্রিয়া চলছে। গত ২০ অগস্ট মিলন সাহা আদালতে রিভিশন পিটিশন দাখিল করে দাবি করেন, মুকুল আর জগন্নাথের ব্যাপারে তদন্ত প্রক্রিয়া যেহেতু শেষ হয়নি, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া আইনি দিক দিয়ে ঠিক হয়নি। ওই আদেশ সংশোধন করা হোক। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ দিনের রায়।
মুকুলের আইনজীবী সুমন রায় অবশ্য দাবি করেন, “এই নির্দেশে পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ফলে আমাদের হয়রানি করার সুযোগটা কারও থাকছে না” তাঁর দাবি, ‘‘রাজনৈতিক কারণে নির্দোষ ও ঘটনার সঙ্গে সংশ্রববিহীন এক জনকে ফাঁসানো চেষ্টা হচ্ছে। যথেষ্ট সময় পাওয়া সত্ত্বেও সিআইডি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করতে পারেনি। সম্ভবত সেই দিকটা মাথায় রেখেই বিচারক ফের তদন্তের আদেশ দেননি।” জগন্নাথের আইনজীবী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি এখনও রায়ের প্রতিলিপি হাতে পাইনি। তাই কিছু বলতে পারব না।”
বারবার চেষ্টা করেও জগন্নাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রাতে মুকুল বলেন, ‘‘এ ভাবে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বেশি দিন চালানো যায় না। বিচারব্যবস্থার উপরে আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আমাক বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত সত্যেরই জয় হবে।’’