বিতর্কের কেন্দ্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতের আংটি। — ফাইল ছবি।
আংটিকাণ্ডে সংশোধনাগারের সুপারকে তলব করল আদালত। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন। তাঁর হাতের রুপোর একটি আংটি নিয়ে ইডির ‘প্রভাবশালী’ প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এমনই নির্দেশ আদালতের। আগামী ২৬ এপ্রিল সুপারকে লিখিত জবাব-সহ হাজির হতে হবে আদালতে।
জেলের মধ্যে থাকা অবস্থাতেও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে আংটি পরে রয়েছেন। তা নিয়ে বুধবার আদালতে বিস্তর জলঘোলা হয়। ইডি দাবি করে, পার্থ এতটাই প্রভাবশালী যে ‘জেল কোড’ ভেঙে আংটি পরে জেলে ঘুরলেও তা নিয়ে বলার কেউ নেই। যদিও পার্থের দাবি, শরীরের কারণেই আংটি খোলেননি তিনি। দু’পক্ষের সওয়াল, জবাব শোনার পর জেলের সুপারকে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টায় জেলের সুপারকে আদালতে হাজির হতে হবে।
সূত্রের খবর, শুনানি শেষেই পার্থ হাত থেকে আংটি খুলে দেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেল থেকেই আদালতে হাজিরা দেন পার্থ। সেই সময়েই ইডির আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেন, পার্থ প্রভাবশালী। তার কারণ হিসাবে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, পার্থের প্রভাবের কারণেই ‘জেল কোড’ ভেঙে তিনি জেলের মধ্যে আংটি পরে ঘোরেন। কিন্তু কেউ তাঁকে কিছু বলেন না। যা শোনার পর বিচারক পার্থকে হাত তুলে আংটি দেখাতে বলেন। তা করেন পার্থ। জানান, স্বাস্থ্যের কারণেই হাতের আঙুলে আংটি পরেন তিনি। তাঁর আইনজীবীর দাবি, আংটি সংক্রান্ত নিয়ম পার্থের অজানা।
এর পরেই আদালত আগামী ২৬ এপ্রিল জেলের সুপারকে সকাল ১১টায় আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। শুধু সশরীরে হাজিরাই নয়, কেন পার্থ জেলে থাকা অবস্থাতেও হাতে আংটি পরে রয়েছেন তা সবিস্তারে লিখিত আকারে নিয়ে আসতে হবে। আইন বলছে, কোনও কয়েদির হাতে আংটি বা অন্য কোনও অলঙ্কারসামগ্রী রয়েছে কি না তা দেখার দায়িত্ব সুপারের। কিন্তু পার্থের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম সঠিক ভাবে পালিত হয়নি বলেই মনে করছে আদালত। সে ক্ষেত্রে আদালত জানতে চায়, জেল সুপার কি জেল কোড জানেন না? না কি কর্তব্যপালনে অপারগ হয়েছিলেন সুপার? লিখিত আকারে জেলের সুপারকে জানাতে হবে, যদি তিনি জেল কোড সম্পর্কে সম্যক অবহিত থাকেন তাহলে কেন পার্থকে আংটি পরে জেলে থাকার অনুমতি তিনি দিলেন?