আহত দেবপ্রসাদ তরফদার। — নিজস্ব চিত্র
বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে তারস্বরে বাজছিল বড় বড় বক্স। আওয়াজটা একটু কমাতে বলেছিলেন অসুস্থ প্রৌঢ়। অভিযোগ, তাতেই মেজাজ চড়ে যায় ফুর্তিবাজদের। প্রৌঢ়কে ধরে বেদম পেটায় তারা। মারধর করা হয় স্ত্রীকেও।
শুক্রবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের চৈতার ঘটনা। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চৈতা পঞ্চায়েতের ঘোনা বাজার-সংলগ্ন এলাকায় সঞ্জয়ের গ্রিলের দোকান। সেখানেই শুক্রবার সকাল থেকে ডি়জে বাজছিল।
দোকানের উল্টো দিকে থাকেন দেবপ্রসাদ তরফদার। কয়েক দিন ধরে শরীর ভাল নেই বছর পঞ্চান্নর ওই প্রৌঢ়ের। তিনি অনুরোধ করেছিলেন, শব্দটা যেন একটু কমানো হয়। গ্রামবাসীদের অনেকেও একই অনুরোধ করেছিলেন। বিকেলের দিকে বসিরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমরেশ হালদার এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। গ্রামের লোক বিষয়টি তাঁকে জানালে তিনিও আওয়াজ কমানোর অনুরোধ করেন। অভিযোগ, তখনকার মতো ডিজে বন্ধ করে দেওয়া হলেও অমরেশবাবু চলে যেতেই ফের শুরু হয় শব্দের দাপট।
এ বার দেবপ্রসাদবাবু কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে আসেন। অভিযোগ, সঞ্জয় ও তার সঙ্গীরা দেবপ্রসাদবাবুকে বেধড়ক মারধর করে। ভোজালি দিয়ে কোপানোর চেষ্টা হয়। স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলেন স্ত্রী সন্ধ্যারানি। তাঁকেও মারধর করা হয়। ওই দম্পতি আপাতত বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের ছেলে গোবিন্দ বলেন, ‘‘মাইক বাজানো নিয়ে প্রতিবাদ করলে ফল ভাল হবে না বলে হুমকি দিয়েছিল ওরা।’’
অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, গোলমাল হলেও মারধরের অভিযোগ মিথ্যে। তদন্তকারী অফিসার জানান, সঞ্জয়ের সঙ্গে দেবপ্রসাদবাবুদের জমি-সংক্রান্ত গোলমাল রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তার যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।