Contai Cooperative Bank Election

কাঁথি সমবায়ে ভোটগণনা শুরু, ‘বিজেপিই জিতবে’, আশাবাদী শিশির, পাল্টা খোঁচা তৃণমূল বিধায়কের

পারে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারীর দাবি, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে বিজেপিই জিতবে। পাল্টা খোঁচা দিলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৪
Share:

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে শুরু কাঁথি সমবায়ের ভোটগ্রহণ। —নিজস্ব চিত্র।

দুপুর ২টোয় শেষ হয়ে গিয়েছে কাঁথি সমবায়ের ভোটগ্রহণ। তার পর গণনাও শুরু হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পরেই ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারীর দাবি, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে বিজেপিই জিতবে। পাল্টা খোঁচা দিলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। তাঁর দাবি, শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে ভোট নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো রবিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে কাঁথি ও এগরার পাঁচ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরকাড়া নিরাপত্তা ছিল। সেই সঙ্গে প্রতিটি বুথ এলাকাতেই মোতায়েন ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। বুথ এলাকায় জারি ছিল ১৪৪ ধারা। এর জেরে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি থেকে কোনও ঝামেলার খবর সেই ভাবে মেলেনি। তবে কাঁথি, রামনগর, হেড়িয়া এবং কোলাঘাটে ভোটপর্ব চলাকালীন বুথের কিছু দূরে তৃণমূল ও বিজেপির সমর্থকেরা দফায় দফায় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন বলে খবর। যদিও সেই ঝামেলার মাঝেই ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে।

সব মিলে ১৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ১২টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলদা এবং কলকাতায় ওই ব্যাঙ্কের বড়বাজার শাখায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছিল। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার ৪৮০। মোট ১০৮টি আসনে প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই ১৫ সদস্যের ডিরেক্টর বোর্ড গঠন করবেন।

Advertisement

তৃণমূলে থাকাকালীন এই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু। দীর্ঘ সময় শুভেন্দুর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সমবায়ের রাশ তাঁর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। এ বার সেই ব্যাঙ্কের ক্ষমতার কেন্দ্রে কারা থাকবেন, তা নিয়েই তুঙ্গে রয়েছে উদ্দীপনা। এই নির্বাচনে জেতার জন্য তৃণমূল নেতাদের ঝাঁপানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যদিও ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের জয় নিয়ে আশাবাদী শিশির। তিনি বলেন, ‘‘এই সমবায়ে বিজেপির জয় নিয়ে আমরা ভীষণ ভাবে আশাবাদী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিআরপিএফ দিয়ে এই সমবায়ের ভোট হচ্ছে। যা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূলীরা। তবে সব বুথে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। সেখানে বিক্ষিপ্ত অশান্তি করার চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল।’’

শিশিরের দাবিকে নস্যাৎ করেছেন অখিল। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে জেতার জন্য মমতা তাঁকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। অখিল বলেন, ‘‘এই নির্বাচনে শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল। নজিরবিহীন ভাবে এই ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী আনিয়েছে বিজেপি। মূলত তাদের আবেদনের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। যা একপ্রকার নজিরবিহীন। গোটা দেশে কোনও সমবায়ের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের ঘটনা জানা নেই। তবে কাঁথিতে সমবায়ের ভোটে যে ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ হল, তা আমাদের কাছে চরম লজ্জার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement