এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
প্রায় দু’সপ্তাহ পর রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ টপকাল। সেই সঙ্গে দৈনিক সংক্রমিত এবং সুস্থের মধ্যে ব্যবধানও কমল অনেকটা। তবে বুধবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা মঙ্গলবারের তুলনায় কিছুটা বেশি হয়েছে। তাতে সংক্রমণের হার আগের দিনের তুলনায় কম ধরা পড়েছে। রাজ্যে মোট সুস্থের সংখ্যা এখন ৫ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি। সেই সঙ্গে সুস্থতার হারও আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে।
রাজ্যে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২১৭ জন ছিল গত ১১ ফেব্রুয়ারি। তার পর থেকে গত ১২ দিন টানা দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২০০-র নীচে। বুধবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা মঙ্গলবারের তুলনায় বাড়তেই ২০০ ছাড়িয়ে গেল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ২১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এর ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০১ জন। এর মধ্যে নতুন করে ৭৫ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৪৩। হাওড়ায় ২০ জনের শরীরে নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ১১ জন। বাকি কোনও জেলাতেই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাটা দুই অঙ্কে পৌঁছয়নি। আলিপুরদুয়ার এবং ঝাড়গ্রামে নতুন করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি।
২৪ ঘণ্টায় যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে যতগুলি রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তার শতকরা হারকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ১.০৩ শতাংশ। ২৩ দিন পর সংক্রমণের হার পৌঁছেছিল ১ শতাংশের উপরে। বুধবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লেও সংক্রমণের হার কমে হয়েছে ১ শতাংশ।
রাজ্যে দৈনিক সুস্থের হার বহু দিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে বেশি।। বুধবারও সেই ধারা অব্যাহত। তবে দু’টি মাইলস্টোনের মধ্যে ব্যবধান কমেছে এ দিন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড মুক্ত হয়েছেন ২২১ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থের সংখ্যা পৌঁছল ৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৬৮-তে। এখন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৭ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ২২ জন কম। তার জেরে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার। বুধবার তা হয়েছে ৯৭.৬৩ শতাংশ।
বুধবার রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর মধ্যে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং উত্তর দিনাজপুরে ১ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এই নিয়ে করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ১০ হাজার ২৫৬ জনের।