এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সোমবার রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৫ হাজারের কিছু বেশি। ওই দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৮ জন। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা বেড়ে ১৮ হাজারের বেশি হতেই দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা আগের দিনের থেকে ৪১ বেড়ে হল ১৮৯। সেই সঙ্গে গত ২৩ দিন ধরে ১ শতাংশের নীচে থাকা সংক্রমণের হারও এক ধাক্কায় বেড়ে গেল এ দিন। অবশ্য ইতিবাচক পরিবর্তনের ছবি বজায় রয়েছে সুস্থতার হারে এবং দৈনিক সুস্থের সংখ্যায়।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে ১৮৯ জনের। সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল ১৪৮। রাজ্যে এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৯।
সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজারের বেশি। তার জেরে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে যতগুলি রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তার শতকরা হারকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ০.৯৮ শতাংশ। ২৩ দিন পর মঙ্গলবার ওই সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ১.০৩ শতাংশে।
রাজ্যে দৈনিক সুস্থের হার বহু দিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে বেশি। মঙ্গলবারও সেই ধারা বজায় রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড মুক্ত হয়েছেন ২২৮ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থের সংখ্যা পৌঁছল ৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪৭-এ। এখন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৯ জন। যা সোমবারের তুলনায় ৪১ জন কম। তার জেরে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার। মঙ্গলবার এই হার হয়েছে ৯৭.৬২ শতাংশ।
মঙ্গলবার পুরুলিয়া এবং কালিম্পংয়ে এক জন করে রাজ্যে মোট ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার ফলে রাজ্যে এখন মোট মৃতের সংখ্যা হল ১০ হাজার ২৫৩ জন। এ দিন রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণে এগিয়ে কলকাতা। সেখানে আক্রান্ত ৬৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৫৯। এ ছাড়া হাওড়ায় এ দিন ১৭ জনের করোনা ধরা পড়েছে। বাকি কোনও জেলাতেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই অঙ্কে পৌঁছয়নি।