রাজ্যে করোনা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় ফের শীর্ষস্থানে কলকাতা। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। মঙ্গলবার ওই দুই জেলায় মৃত্যুও হয়েছে করোনা রোগীর। রাজ্যের করোনা মানচিত্রে সোমবার ছিল ব্যতিক্রমী। প্রায় ১০ মাস পর ওই দিন করোনায় মৃতের সংখ্যা শূন্যে নেমেছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের বদলে গিয়েছে ছবিটা। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই নেমেছে সংক্রমণের হার। আগের দিনের তুলনায় সুস্থতার হার বেড়েছে সামান্য।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। মৃতদের মধ্যে এক জন কলকাতার এবং অপর এক জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এই নিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হল মোট ১০ হাজার ২৭০ জনের। এর মধ্যে ৩ হাজার ১০২ জন কলকাতায় এবং ২ হাজার ৫০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়।
সোমবারের তুলনায় এ দিন রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে হয়েছে ১৭১। এর ফলে রাজ্যে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৮৭।
সোমবার রাজ্যে সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১.২৪ শতাংশ। ওই দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৬ হাজার ১৪টি। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার ৯৬৫টি। স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমণের হারও ফের এক বার ১ শতাংশের নীচে নেমে হয়েছে ০.৯০ শতাংশ। প্রতিদিন যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে যত রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তার শতকরা হিসেবকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা ‘সংক্রমণের হার’।
সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার সামান্য বেড়েছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০৯ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৬৪ জন। সুস্থতার হার পৌঁছেছে ৯৭.৬৫ শতাংশে। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগী ৩ হাজার ২৫৩ জন।
সোমবারের মতো মঙ্গলবারও রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে কলকাতা। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৪০ জন। এ ছাড়া আলিপুরদুয়ার (৪), দার্জিলিং (৫), জলপাইগুড়ি (৪), উত্তর দিনাজপুর (৩), মালদহ (১), মুর্শিদাবাদ (২), নদিয়া (৭), বীরভূম (২), পুরুলিয়া (১), বাঁকুড়া (৬), পশ্চিম মেদিনীপুর (২), পূর্ব মেদিনীপুর (১), পূর্ব বর্ধমান (১), পশ্চিম বর্ধমান (৬), হাওড়া (৬) এবং হুগলি (১)-তে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।